জীবনের ইঁদুর দৌড়ে সাফল্য চান সকলেই। কিন্তু হাতে গোনা মানুষই পান। সবাই সাফল্য পায় না। আসলে সফল হওয়া খুব সোজা নয়। লক্ষ্য হাসিল করা যজ্ঞের সমান। অনেক কিছুর আহুতি দিতে হয়। জীবনে ছোট ছোট ভুল আপনাকে সাফল্য থেকে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে। জীবনে ব্যর্থতা এড়াতে চাইলে আচার্য চাণক্যের দেওয়া নীতি মেনে চলুন। হতাশা থেকে বাঁচবেন। সাফল্যও পাবেন।
আচার্য চাণক্য বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ট কূটকৌশলী। জয়-পরাজয় থেকে নেতৃত্বদান- এই সব বিষয় নিয়েই তিনি লিখে গিয়েছেন। তাঁর লেখা রচনাই চাণক্যনীতি নামে খ্যাত। চাণক্যনীতি আজও প্রাসঙ্গিক। সেই চাণক্যনীতিতেই রয়েছে জয়ের ফর্মুলা বর্ণনা।
আত্মবিশ্বাস- আত্মবিশ্বাস থাকা দরকার। নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস থাকলে খুব কঠিন কাজ এবং পরিস্থিতিও সহজে পথের খোঁজ মেলে। আচার্য চাণক্যের মতে, আত্মবিশ্বাস এমন একটি জিনিস যা মানুষকে তাঁর জীবনে কখনও হারাতে দেয় না। আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিকে কেউ হারাতে পারে না।
জ্ঞানের সঙ্গে বন্ধুত্ব- জ্ঞান প্রত্যেক মানুষের প্রকৃত বন্ধু। আচার্য চাণক্যের মতে, বইয়ের জ্ঞান হোক বা যে কোনও কাজের অভিজ্ঞতা, মানুষের জ্ঞান কখনই নষ্ট হয় না। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি তাঁর জীবনে কখনও ব্যর্থ হন না। জ্ঞান মানুষকে ভাবার স্বাধীনতা দেয়। প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলানোর আত্মবিশ্বাস দেয়।
কঠিন পরিশ্রম- মানুষ তাঁর কঠোর পরিশ্রমের জোরে প্রতিটি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। একজন ব্যক্তি তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফল শীঘ্রই বা পরে পায়। আচার্য চাণক্যের মতে কঠোর পরিশ্রমই সাফল্যের মূল মন্ত্র। পরিশ্রম না করলে সাফল্য মেলে না।
অপরের কথা শুনবেন না- মানুষের ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় কারণ অন্যের কথায় কান দেওয়া। মানুষ একে অপরের কথায় প্রভাবিত হয়ে রাগে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এতে করে তাঁরা নিজেদের ক্ষতি করে। অন্যের কথায় মানুষ ভুল সিদ্ধান্তও নেয়। আবার অন্যের কথায় নিজেকে ছোট করে দেখে, যা আত্মবিশ্বাসে আঘাত করে।
সতর্ক থাকা- যে কোনও ব্যক্তির উচিৎ প্রতিটি পরিস্থিতিতে চোখ-কান খোলা রাখা। সহজ কথায়, সতর্ক থাকা উচিৎ। সতর্ক ব্যক্তি কখনও ব্যর্থতার মুখোমুখি হন না।
অর্থের সদ্ব্যবহার- এছাড়াও চাণক্য একজন ব্যক্তিকে তাঁর অর্থের সদ্ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি অর্থের সদ্ব্যবহার করতে জানে এবং খারাপ সময়ের জন্য নিরাপদ রাখে সেও জীবনে ব্যর্থ হয় না।