গত বছরের মতো ২০২৫ সালেও মোট চারটি গ্রহণ হবে। দুটি সূর্যগ্রহণ এবং দুটি চন্দ্রগ্রহণ৷ গ্রহণ হল একটি জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ঘটনা, যা প্রতি বছর দেখা যায়। সনাতন ধর্মে, গ্রহণকে নিছক একটি জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। এটিকে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত বলেই মনে করা হয়। গ্রহণ অশুভ বলে বিশ্বাস করেন অনেকে। সেই বিশ্বাস অনুযায়ী গ্রহণের সময়কালে, কোনও ধরনের শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ।
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ১৪ মার্চ। এটি ছিল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। জেনে নিন এবছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ কখন, কোথায় হবে এবং ভারত থেকে সূতক কাল বৈধ হবে কিনা।
বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ
২০২৫ -এর দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ ৭ সেপ্টেম্বর হবে। এই গ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। জ্যোতির্বিদ্যা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন চাঁদের চারিদিকে লাল রঙা আভার ফলে, একেবারে বিরল দৃশ্য দেখা যাবে। ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকার কিছু অংশ এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চল জুড়ে এই চন্দ্রগ্রহণ দৃশ্যমান হবে। এবছর শুধু মাত্র এই গ্রহণটি ভারত থেকে দেখা যাবে।
চন্দ্রগ্রহণের সূতক কাল
সাধারণত, সূতককাল চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘণ্টা আগে শুরু হয়। আর এক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই চন্দ্রগ্রহণ যেহেতু ভারত থেকে দৃশ্যমান হবে, তাই সূতককালও বৈধ হবে। এক্ষেত্রে কোনও শুভ কাজ, পুজো বা দৈনন্দিন কাজ করতে কোনও বাধা থাকবে না।
সূর্যগ্রহণ কী
পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য যখন একই সরলরেখায় অবস্থান করে এবং চন্দ্র, পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে এসে ছায়ার সৃষ্টি করে তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছায় না। এই মহাজাগতিক ঘটনাকেই সূর্যগ্রহণ বলে।
আংশিক সূর্যগ্রহণ
যখন চাঁদের জন্য সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে বাধা পেলেও, একটা অংশের আলোয় শুধুমাত্র বাধা পায়, তখন এই ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। অর্থাত্ এক্ষেত্রে সূর্যের একটা অংশ চাঁদের জন্য ঢাকা পড়ে আর বাকি অংশ দেখা যায়। এই আংশিক গ্রহণে সূর্যকে আধ খাওয়া ফলের মতো দেখতে লাগে।