দেবী লক্ষ্মীর নানা রূপ। তার মধ্য়ে একটি মহালক্ষ্মী। পৌরাণিক মতানুসারে দেবী লক্ষ্মীর জন্ম সমুদ্র মন্থন থেকে হয়েছিল। সমুদ্র থেকে উৎপন্ন সমস্ত রত্ন, মুক্তা, কড়ির অধিষ্ঠাত্রী দেবী মহালক্ষ্মী নিজেই। কড়ি একটি রত্ন এবং ধনের সমান মূল্যবান। প্রাচীনকালে কড়ি দিয়ে কেনা-বেচা চলত।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বলা আছে যে, ভিখারি দশা থেকে কীভাবে ধনবান হবেন। কিন্তু তার আগে জানতে হবে যে কীভাবে তার পথ প্রস্তুত করতে হবে। লক্ষ্মী পুজোর দিন তো বটেই সারা বছর এভাবে মা লক্ষ্মীর বন্দনা করুন। দারিদ্র্য আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
১. জলে একটু দই মিলিয়ে নিন। তারপর সেই জলে স্নান করুন।
২. স্নানের সময় ও পরে লক্ষ্মী-নারায়ণের নাম ধ্যান ও জপ করুন।
৩. লক্ষী-নারায়ণ মন্দিরে অথবা নিজের পুজোর ঘরে লক্ষ্মী নারায়ণের পুজা করে তাঁর ওপর গোলাপি ফুল ছড়িয়ে দিন।
৪. এই মন্ত্র জপ করুন- শ্রী জগতপ্রসূতে নমঃ।
৫. লক্ষ্মী-নারায়ণের ছবি বা মূর্তির উপর চন্দনের তিলক লাগান।
৬. লক্ষী-নারায়ণকে ভোগ দেওয়া পায়েস কোনও কিশোরী বা বালিকাকে খাওয়ান।
৭. সন্ধ্যায় উত্তর দিকে লক্ষ্মীর ছবি স্থাপন করুন।
৮.গরুর দুধের ঘিতে আতর মিলিয়ে প্রদীপ জ্বালান
৯. দই চিনি ভোগে দিন।
১০. সুগন্ধি ধুপকাঠি জালান।
১১. দই চিনিতে ভোগ দিন
১২. স্ফটিকের মালাতে ওম শ্রী নমঃ জপ করুন
১৩. জপ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ১১টি কড়ি লাল কাপড়ে মুড়ে সিন্দুকে রেখে দিন
১৪. কড়ি ধোয়া জল ফেলে দিন।
এতে আপনার ব্যবসায় যেমন মুনাফা হবে। তেমনি ঘরে পয়সার অভাব শেষ হয়ে যাবে। গরিবী থেকে চিরমুক্তি মিলবে।