Dwijapriya Sankashti Chaturthi 2022: ২০ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থী। এই দিন পূজিত হন গণেশের ৩২ রূপের মধ্যে ষষ্ঠ স্বরূপ। মনে করা হয়, সংকষ্টীর দিন গণপতির পুজো করা হলে সংসারে নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়। শান্তি থাকে গৃহে। পুজোর সঙ্গে দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থীর ব্রতকথা পাঠও করলেও সুখ-শান্তি আসে।
আর পাঁচটা পার্বণের মতো দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী চতুর্থী উদযাপনের নেপথ্যেও রয়েছে পৌরাণিক কথা। সর্বাধিক প্রচলিত কথা, শিব ও পার্বতীর মধ্যে একটি পাশা খেলা নিয়ে। একদা নদীর ধারে বসেছিলেন গৌরি ও গৌরিশ। তখন পাশা খেলার ইচ্ছা হয় পার্বতীর। কিন্তু সেখানে তৃতীয় কেউ ছিলেন না। ফলে খেলার নিয়মকানুন ঠিক মতো মানা হচ্ছে কিনা তা কে ঠিক করবে? তাঁরা তো আর যে-সে দম্পতি নন খোদ আদিশক্তি ও মহাদেব। সেখানেই একটি মাটির মূর্তি করেন শিব। সেই মূর্তিকে প্রাণ দেন। সেই বালককে স্বামী-স্ত্রী নির্দেশ দেন,'ভাল করে খেলা দেখো তুমি। হারজিতের ফয়সলা তোমাকে করতে হবে।' খেলা শুরু হওয়ার পর পার্বতীর কাছে বারবার পরাস্ত হন শিব।
খেলার মাঝেই ভুল করে পার্বতীকে পরাজিত ঘোষণা করেন ওই বালক। এই ভুল মেনে নিতে পারেননি শিব-জায়া। ক্রোধে ফুটে ওঠেন। পার্বতীর অভিশাপে ওই বালক পা খুঁইয়ে ফেলেন। কিন্তু ক্রন্দনরত বালকের অনুরোধে সাড়া দেন শিবের গৌরি। শাপ তো ফেরত নিতে পারবেন না। কিন্তু মুক্তির উপায় বাতলে দেন। মাতা জানান, সংকষ্টী করলে তাঁর সমস্যার সমাধান হবে।
আরও পড়ুন- ৩০ টাকার শেয়ার ৩ বছরে ২১০০ পার, ৭০০০% রিটার্ন আদানির এই স্টকে
ব্রতবিধি জেনে সংকষ্টী করতে থাকেন ওই বালক। তাঁর পুজোপাঠে খুশি হন গণেশ। বালক তাঁকে জানান, তিনি শিব ও পার্বতীর কাছে যেতে চান। ইচ্ছাপূরণ করেন গণপতি। তাঁকে নিয়ে যান শিবলোকে। কিন্তু শুধু শিবই ছিলেন সেখানে। স্বামীর উপরে কৈলাস ছেড়েছেন পার্বতী। শিব তখন ওই বালকের কাছে গোটা ঘটনা শোনেন। পার্বতীকে ফিরে পেতে তিনিও সংকষ্টী ব্রত করেন। স্বামীর এমন ভক্তি দেখে ফিরে আসেন গৌরি।
আরও পড়ুন- দোলের উপহার বর্ধিত পেনশন স্কিম! ফায়দা এই শ্রেণির কর্মীদের