অগাস্টের প্রথম রবিবার উদযাপিত বন্ধুত্ব দিবস বা ফ্রেন্ডশিপ ডে। সব মানুষের জীবনে প্রতিটি সম্পর্কের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। বন্ধুত্ব এমনই এক অনন্য সম্পর্ক, যা আরোপিত নয় বরং মানুষ নিজে বেছে নেয়। মহাভারতের অর্জুনের বন্ধু ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। যে অর্জুনকে যুদ্ধক্ষেত্রে দিশা দেখিয়েছিলেন দ্বারকাধীশ। আর কৃষ্ণ-সুদামার বন্ধুত্বও কে ভুলতে পারে! সুখ-দুঃখ হোক বা গোপন কথা যখন কারও সঙ্গে নির্দ্বিধায় শেয়ার করা যায় তিনিই হন বন্ধু। প্রয়োজনে যার কাঁধে মাথা রাখা যায়। যাঁর উপর রাগ করা যায়, অধিকার ফলানো যায়, তিনিই তো বন্ধু। এমন বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম।
ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে পরস্পরকে ব্যান্ড বাঁধেন বন্ধুরা। এভাবেই তাঁরা বন্ধুত্বের উদযাপন করেন। সকলেই চান, চিরকাল যাতে বন্ধুত্ব অটুট থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই বন্ধুত্বের গভীরতার জন্য কয়েকটি প্রতিকার দেওয়া হয়েছে। তা মেনে চললে বন্ধুত্ব অটুট থাকে, মন কষাকষি হয় না এবং সম্পর্কের মধ্যে থাকে মিষ্টত্ব। তাই ফ্রেন্ডশিপ ডে--র মতোই দিনে শুরু হোক বন্ধুত্বের উদযাপন।
বন্ধুর কব্জিতে যা বাঁধবেন-
জ্যোতিষ মতে, বন্ধুত্ব দিবসে বাজার চলতি ব্যান্ডের পরিবর্তে বন্ধুর হাতে একটি লাল সুতো বেঁধে দিন। লাল সুতো ব্যবহারের পিছনের কারণ হল মঙ্গল ও বুধ। বিশ্বাস করা হয় যে কাপড়ের সঙ্গে বুধের সম্পর্ক রয়েছে। লাল রং মঙ্গলের প্রতীক, তাই সুতো ব্যবহার করা হয়। ফ্রেন্ডশিপ ডে-র দিন বন্ধুর হাতে লাল সুতো বাঁধা যায় তাহলে বন্ধুত্ব আজীবন অটুট থাকবে।
কোনও বন্ধু না থাকলেও প্রতিকার রয়েছে। কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইলে হাতে বেঁধে দিন লাল সুতো। এতে বন্ধুত্ব বাড়বে। আরও গাঢ় হবে।
কী কারণে বন্ধুত্বের সম্পর্ক খারাপ হয়
এমন অনেক কারণ রয়েছে যার ফলে ভেঙে যেতে পারে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। কথিত আছে, কালো রঙের পোশাক পরলে সম্পর্ক নষ্ট করে। বন্ধুকে রুমাল, পারফিউম ইত্যাদি উপহার দিতে নেই। এতে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। এছাড়া শনিবার কোনও বন্ধুর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন- ঘরে তুলসী গাছের সঙ্গে রাখুন এই জিনিস, রাতারাতি খুলবে কপাল