শারদোৎসব শুরু হতে এখনও এক মাস বাকি। তবে তার আগে ধুমধাম করে পালিত হবে গণেশ পুজো। গণপতি বাপ্পার উৎসব মূলত মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিম ভারতে হলেও এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই উদাযাপিত হয়। বাঙালিরাও ঘরে ঘরে পালন গণেশ পুজো করেন। নিষ্ঠা ভরে, নিজে হাতে প্রাসদী মোদক বানিয়ে বাপ্পাকে অর্পণ করেন অনেকে। তবে জানেন কি গণেশ পুজোয় কী কী নিয়ম মানলে সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদ থাকবে সারাবছর?
সমৃদ্ধিলাভের আশাতেই গণেশ স্থাপন করা হয় ঘরে ঘরে। তবে মন্দিরে হোত, প্যান্ডেলে হোক বা বাড়িতে গণপতির পুজো করার সময়ে কিছু বিশেষ নিয়ম মানা জরুরি। সঠিক নিয়মে পুজো করলে গণেশের কৃপায় ভক্তের জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।
কী কী নিয়ম মানবেন সিদ্ধিদাতাকে সন্তুষ্ট করতে?
> গণপতি বাপ্পার পুজোর নৈবেদ্য থালায় অবশ্যই রাখুন মোদক, লাড্ডু। এগুলি গণেশের অতি প্রিয়।
> পুজোর দিনে দূর্বার মালা, জবার মালাও পড়ান গণেশের বিগ্রহে। গণেশের প্রিয় দূর্বা ও ঘাস।
> গণেশ চতুর্থীতে অর্পণ করুন সুপুরি ও পান।
> কাঠের চৌকিতে লাল কাপড় বিছিয়ে তার উপর রাখুন গণেশের মূর্তি।
> উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিক গণেশের মূর্তি বসানোর জন্য শুভ।
> গণেশের ডান ও বাঁ দিকে ঋদ্ধি-সিদ্ধির প্রতীক হিসেবে একটি করে সুপারি রাখুন।
> গণেশকে খুশি করতে পঞ্চামৃত, সিঁদুর, ধূপ, প্রদীপ দিয়ে পুজো করুন।
> ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ মন্ত্র পাঠ করে সিদ্ধিদাতার পুজো করুন।
কোন কোন কাজ করবেন না গণেশ পুজোয়?
> গণেশ পুজোতে সাধারণত চাঁদ দেখা বারণ। প্রচলিত আছে, গণেশকে দেখে চাঁদের হাসি পেয়েছিল বলে গণেশ তাকে অভিশাপ দেন, যে কেউ চাঁদ দেখলেই তার জীবনে নেমে আসবে বিপদ।
> ভুল করেও গণেশ পুজোয় তুলসী ব্যবহার করা যাবে না। এক পৌরাণিক গল্প অনুসারে, তুলসী গণেশকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। গণেশ রাজি না হওয়ায় তুলসী অভিশাপ দিয়েছিলেন যে গণেশের দু’টি বিয়ে হবে।
> পুজোয় ব্যবহৃত মূর্তি যেন ভাঙা না থাকে। এতে পুজোয় সাফল্য আসে না।
> মোদক নিরামিষ হওয়া উচিত।
> অনেকে বিশ্বাস করেন কালো রং শোকের প্রতীক তাই গণেশ পুজোয় কালো রংয়ের পোশাক পরা উচিত নয়।