হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে শ্রী রাম (Lord Ram) ভক্ত হনুমান (Hanuman) চৈত্র শুক্ল পূর্ণিমায় জন্মেছিলেন। যদিও কিছু লোকের বিশ্বাস যে হনুমানের জন্ম হয়েছিল ছোটি দিওয়ালিতে। হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) বজরংবলীর বিশেষ পুজো করা হয়। মনে করা হয় এই পুজো করলে জীবনের সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করা যায়। হনুমান জয়ন্তীতে গ্রহগুলিও বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রশান্ত হয়। এই দিনটি শিক্ষাদীক্ষা, বিয়ে, সাফল্য এবং মামলা থেকে বেরনোর জন্য খুব শুভ দিন। এই বছর পবনপুত্রের জন্মবার্ষিকী উদযাপন হবে আগামী ২৭ এপ্রিল, মঙ্গলবার।
হনুমান জয়ন্তীর পুজোর নিয়ম
বজরংবলীর উপাসনা অভিজিৎ মুহুর্তে করতে হয়। উত্তর-পূর্ব দিকের চৌকিতে একটি লাল কাপড় রাখুন। সেখানেই ভগবান রামের সঙ্গে হনুমানের একটি ছবি রাখুন। বজরংবলীর ছবিতে কমলা সিঁদুর পরিয়ে দিন। এবার হনুমানকে লাল ফুল এবং শ্রী রামকে হলুদ ফুল অর্পণ করুন। তেলের বা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান সামনে। লাড্ডুর সঙ্গে তুলসী দিয়ে পুজো করুন। প্রথমে শ্রী রামের মন্ত্র "রাম রামায় নমঃ" জপ করুন। এরপরে বজরংবলীর মন্ত্র "ওম হনুমাতে নমঃ" জপ করুন। এবার হনুমানের ছবি থেকে কমলা সিঁদুরের তিলক পরুন নিজের কপালে।
হনুমান জয়ন্তীর শুভ সময়
হনুমান জয়ন্তীর উপাসনার শুভ সময়টি ২৬ এপ্রিল রাত ১২:৪৪ থেকে ২৭ এপ্রিল রাত ৯:০১ অবধি থাকবে। এই সময়ে ভক্তরা হনুমান এবং শনি দেবের উপাসনা করতে পারেন।
স্বাস্থ্যের সমস্যার সমাধান
লাল পোশাক পরুন। বজরংবলীকে সিঁদুর, লাল ফুল ও মিষ্টি দিয়ে উপাসনা করুন। এরপরে হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রার্থনা করুন।
অর্থনৈতিক সমস্যার
পবনপুত্র হনুমানের সামনে হালকা জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালান। এরপরে ১১ বার হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। যদি সম্ভব হয় তবে এদিন মিষ্টি দান করুন।
মঙ্গল দোষ কাটানোর উপায়
বজরংবলীকে পুরোপুরি সম্পূন্ন সাজিয়ে রুপো দিয়ে পুজো করুন। এরপর লাল সিল্কের সুতো হনুমানের সামনে দিন। এরপরে মঙ্গল হনুমান চল্লিশার মন্ত্রটি জপ করুন। আপনার গলায় লাল সুতো বেঁধে রাখুন।