কথায় আছে, 'বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ।' রাখি পূর্ণিমার পর এবার পরবর্তী পার্বণ, জন্মাষ্টমীর অপেক্ষা। শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলায়। গোটা দেশেও একইসঙ্গে এই উৎসব পালন করেন কৃষ্ণ ভক্তেরা। কৃষ্ণভক্তদের মধ্যে বিশেষ এই দিনের অনেক মাহাত্ম্য রয়েছে। এই বছর কবে পড়েছে জন্মাষ্টমী? পুজোর শুভ তিথিই বা কখন?
পুজোর শুভ তিথি
এবছর অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ১৫ অগাস্ট রাত ১১.৫০ মিনিটে। অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে ১৬ অগাস্ট রাত ৯.৩৫ মিনিটে। অনেকেই হয়তো ১৫ অগাস্ট রাতেই উদয় তিথি দেখে জন্মাষ্টমী পালন করবেন তবে মূল পুজো ও উদযাপন হবে ১৬ অগাস্ট রাতেই। কারণ কৃষ্ণ জন্মেছিলেন মধ্যরাতে।
কীভাবে পালন করবেন জন্মাষ্টমী?
> বাড়ি পরিষ্কার করে পুজোর ঘর ফুল ও আলো দিয়ে সাজান।
> গোপালের মূর্তি বা ছবি সুসজ্জিত দোলনায় স্থাপন করুন।
> কৃষ্ণের পছন্দসই খাবার যেমন ফল, মাখন, মিছরি নিবেদন করুন।
> ভজন বা ভক্তিগীতি গেয়ে কৃষ্ণনাম জপ করুন।
> মধ্যরাতে দোলনায় রাখা গোপালকে দোল দিন, আরতি করুন।
অনেকেই এই দিনটিতে উপোস করে মধ্যরাতে পুজো করেন। তারপর প্রসাদ গ্রহণ করেন।
কৃষ্ণ ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনে কৃষ্ণের আরাধনা করলে সন্তানপ্রাপ্তি, দীর্ঘায়ু এবং সমৃদ্ধির আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলেই বিশ্বাস কৃষ্ণ ভক্তদের।
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের পুজোর জন্য ৪৪ মিনিটের বিশেষ মুহুর্ত তৈরি হতে যাচ্ছে। এই মধ্যরাতের মুহুর্তে কৃষ্ণের আরাধনা করলে সমস্ত সমস্যা দূর হবে জীবন থেকে।