Tarapith Kali Puja: মা তারা পূজিত হবেন কালী রূপে, কালীপুজোয় তারাপীঠে কখন পুজো দিতে পারবেন?

আর ২দিন পরেই দীপান্বিতা কালীপুজো। আর এই দীপান্বিতা কালীপুজোর দিন পুণ্যার্থীদের প্রত্যেক বছর ভিড় জমে বীরভূমের তারাপীঠ মা তারার মন্দিরে। এই বছরও তারাপীঠে কালীপুজো উপলক্ষ্যে ব্যস্ততা তুঙ্গে। এই বছর অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে চলতি মাসের ২০ অক্টোবর দুপুর ২টো ৫৭ মিনিট থেকে এবং শেষ হচ্ছে ২১ অক্টোবর বিকেল ৪টে ২৬ মিনিটে।

Advertisement
মা তারা পূজিত হবেন কালী রূপে, কালীপুজোয় তারাপীঠে কখন পুজো দিতে পারবেন? তারাপীঠে কখন শুরু কালীপুজো?
হাইলাইটস
  • আর ২দিন পরেই দীপান্বিতা কালীপুজো।

আর ২দিন পরেই দীপান্বিতা কালীপুজো। আর এই দীপান্বিতা কালীপুজোর দিন পুণ্যার্থীদের প্রত্যেক বছর ভিড় জমে বীরভূমের তারাপীঠ মা তারার মন্দিরে। এই বছরও তারাপীঠে কালীপুজো উপলক্ষ্যে ব্যস্ততা তুঙ্গে। এই বছর অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে চলতি মাসের ২০ অক্টোবর দুপুর ২টো ৫৭ মিনিট থেকে এবং শেষ হচ্ছে ২১ অক্টোবর বিকেল ৪টে ২৬ মিনিটে। অমাবস্যা তিথি শুরু হলেই তারা মাকে কালী রূপে পুজো দেওয়া শুরু হবে। মন্দিরের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় bangla.aajtak.in-কে জানালেন কেমন চলছে মন্দিরের মা কালীর পুজোর প্রস্তুতি পর্ব।  

কখন শুরু হয় কালীপুজো
তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, সোমবার কালীপুজো, এইদিন সম্ভবত দুপুর ২টো ৫৭ মিনিটের পর থেকে অমাবস্যা শুরু হচ্ছে। যেহেতু নিশিকালে কালীপুজো তাই তারাপীঠের মা তারাকে ওইদিন কালীরূপে পুজো করা হবে। অর্থাৎ তারা অঙ্গে কালী। সেই পুজোটা শুরু হবে নিশীথে। সেই পুজো শুরু হবে রাত ১০টা-১০.৩০ টার পর। অমাবস্যা লাগার পর তারাপীঠে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে পুজো দেওয়ার জন্য, তাই তারাপীঠ মন্দির চত্ত্বর থেকে শ্মশান চত্ত্বর পর্যন্ত ভক্ত সমাগম হবে। তিনি বলেন, মায়ের সন্ধ্যারতির পর মায়ের শীতল ভোগ হবে। শীতল ভোগ হওয়ার পর ভক্তদের জন্য আবার মন্দির খুলে দেওয়া হবে। সন্ধ্যারতির সময় মন্দির বন্ধ রাখা হয়। সেই সময় মাকে রাজ রাজেশ্বরী রূপে সাজানো হয়। এরপর রাত ১০টা ৩০ মিনিট বা ১১ টার পর মায়ের নিশীথ পুজো শুরু হবে। এই সময় মাকে বিভিন্ন রকমের ফুলের মালা, সোনার গয়নায় সাজানো হয়। সারা অঙ্গে যে কালীপুজো, সেটা শুরু হবে। অমাবস্যা বিকেলের দিকে যেহেতু লাগছে তাই গভীর রাত পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকবে ভক্তদের জন্য। 

সাজানো হয় মন্দির থেকে শ্মশান চত্ত্বর
মন্দিরের সভাপতি বলেন, কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষ্যে গোটা মন্দির চত্ত্বর ফুল দিয়ে, আলো দিয়ে সাজানো হয়। আধুনিকতার পাশাপাশি তারাপীঠের ঐতিহ্য অনুযায়ী সেবাইত বাড়ির মেয়েরা ও আশপাশের মহিলারা এখনও থালায় করে মাটির প্রদীপ নিয়ে এসে মন্দির থেকে শ্মশান পর্যন্ত সাজিয়ে তোলে। সন্ধের সময় এই পুরো এলাকায় বিপুল জন সমাগম হয়, এটা দেখার মতো। এছাড়াও তারাপীঠের সেবাইত বাড়ির মেয়েরা ও মহিলারা সন্ধ্যারতির পর মা কালীর উদ্দেশ্যে আধঘণ্টা ধরে শ্যামা সঙ্গীত নিবেদন করেন। এটা দেখার জন্য মানুষের ভিড় হয় মন্দিরে। তারাপীঠ মন্দিরে আধুনিক আলোর পাশাপাশি প্রদীপ ও মোমবাতির আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। যা দেখার মতো। যেহেতু এটা তন্ত্রপীঠ তারাপীঠ তাই এখানে হোমযজ্ঞ হয়। তন্ত্রমতে পুজো হয় বলে এখানে ভিড়ও হয় প্রচুর। 

Advertisement

মায়ের ভোগ
মায়ের ভোগ নিয়ে সভাপতি জানান, নিশীথ পুজোর পর মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়। তাতে খিচুড়ি থাকে, মন্দির চত্ত্বরে বলি দেওয়া পাঁঠার মাংস থাকে, মাছ থাকে, কারণবারি থাকে, পাঁচ রকম ভাজা, পোলাও, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি এই সমস্ত ভোগের সঙ্গে দেওয়া হয়। সন্ধ্যারতির পর শীতল ভোগে থাকে লুচি, সুজি, ভাজা পাঁচ রকমের, অনেক ধরনের মিষ্টি মাকে নিবেদন করা হয়। এই ভোগ ভক্তেরা পায়। অনেক ভক্ত আবার মায়ের সারাদিনের ভোগ, মধ্যাহ্ন ভোগ, শীতল ভোগের খরচও দিয়ে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্যে নাম-গোত্র উল্লেখ করে সেই ভোগ নিবেদন করা হয়, এরপর সেই ভোগ বিলি করা হয়। মায়ের ভোগ ভক্ত ও মন্দিরের তরফ থেকেই ব্যবস্থা করা হয়। 

নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো থাকে। তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে যেহেতু প্রচুর মানুষের ভিড় হয় তাই নিরাপত্তার দিকটাও মন্দির কর্তৃপক্ষকেই দেখতে হয়। মন্দিরের নিজস্ব নিরাপত্তার পাশাপাশি থাকে সিসি ক্যামেরা, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন থাকে, টিআরবিএ থাকে। সারা রাত মন্দির খোলা থাকে তাই নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়। তিনি এও বলেন যে কালীপুজোর দিন সন্ধ্যের পর থেকেই ভক্তেরা পুজো দিতে শুরু করে। এই সময় তান্ত্রিকরা গোটা দেশ থেকে ভিড় করে তারাপীঠ মহাশ্মশানে। একদিকে শবদাহ হয় আর অন্যদিকে সাধক সাধনা করে, এই দুইয়ের মিলনস্থলেই হচ্ছে মহাশ্মশান। সামনে দ্বারকা নদী আছে। তাই তারাপীঠ সিদ্ধপীঠ। এইভাবেই সারাদিন কালীপুজোর ব্যস্ততা থাকে চরমে।  

    

POST A COMMENT
Advertisement