scorecardresearch
 

Kaushiki Amavasya 2023: কৌশিকী অমাবস্যায় তারামায়ের ভোগে কী কী থাকছে-নিবেদনের নিয়ম কী? জানালেন তারাপীঠের আদি পুরোহিত

Kaushiki Amavasya 2023: কৌশিকী অমাবস্যা মানে তারাপীঠে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায়। প্রতি বছরই এই উপলক্ষ্যে তারাপীঠে ভক্তের ভিড় হয়ে থাকে। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে। আর কৌশিকী অমাবস্যাকে ঘিরে তারাপীঠে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর পাঁচটা অমাবস্যার চেয়ে তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি।

Advertisement
কৌশিকী অমাবস্যা ২০২৩ কৌশিকী অমাবস্যা ২০২৩
হাইলাইটস
  • কৌশিকী অমাবস্যা মানে তারাপীঠে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায়। প্রতি বছরই এই উপলক্ষ্যে তারাপীঠে ভক্তের ভিড় হয়ে থাকে।

কৌশিকী অমাবস্যা মানে তারাপীঠে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায়। প্রতি বছরই এই উপলক্ষ্যে তারাপীঠে ভক্তের ভিড় হয়ে থাকে। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে। আর কৌশিকী অমাবস্যাকে ঘিরে তারাপীঠে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর পাঁচটা অমাবস্যার চেয়ে তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। 

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই ভক্তরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন তারাপীঠে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিনেই সাধক বামাখ্যাপা মায়ের দর্শন পেয়েছিলেন। সেই উপলক্ষে ফি বছর উপচে পড়ে ভিড়। রাতে মন্দির চত্বরেই মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়। কৌশিকী অমাবস্যায় মাকে কী দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়? এ প্রসঙ্গে তারাপীঠ মন্দিরের সভাপতি তথা আদি পুরোহিত তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'কৌশিকী অমাবস্যায় মায়ের একবার মধ্যাহ্ন ভোগ হয় আর একবার নিশিথে ভোগ হয়। মধ্যাহ্ন ভোগে আমরা পোলাও, অন্ন, পাঁচ রকম ভাজা, খিচুড়ি, নানান ধরনের তরিতরকারি দিয়ে থাকি। যেহেতু এটা তন্ত্রপীঠ তাই মাছ রাখা হয়, কারণবারি থাকে, সেইমতো মাকে তন্ত্রমতে পুজো করা হয়, আর সেইজন্য এই জিনিসগুলি লাগে। এই সমস্ত জিনিস দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় মাকে লুচি, সুজি, পায়েস, নানা রকম মিষ্টান্ন-ভাজা দিয়ে শীতল ভোগ দেওয়া হয়। রাতে খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হয় এবং মন্দিরের ভেতর যে পাঁঠা বলি দেওয়া হয়, সেই বলির পাঁঠার মাংস মাকে ভোগ দেওয়া হয়।' প্রত্যেক বছর এই নিয়মেই মাকে ভোগ নিবেদন করা হয় বলে জানান মন্দির সভাপতি।  

তবে মায়ের প্রধান ভোগ বসিয়ে খাওয়া হয় না এই সময়, বলে জানিয়েছেন তারাময় মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, এখানে তো সেবায়তদের মাধ্যমে ভোগ দেওয়া হয়। মন্দির কমিটিও ভোগ দেওয়ার কাজ করে, এছাড়া মায়ের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। তবে এই দু'দিন বসে মানুষ ভোগ খেতে পারেন না, হাতেই প্রসাদ গ্রহণ করেন। আর যাঁরা মাকে এই সময় ভোগ দিতে চান সেই প্রক্রিয়া টা কী? এ বিষয়ে মন্দির সভাপতি জানান, মাকে ভোগ দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ ও ভক্তরা সেবায়তদের সঙ্গেই যোগাযোগ করেন। যে যতজনকে খাওয়াবেন ও ভোগ দেবেন সেই অনুযায়ী খরচা। বলতে গেলে মায়ের ভোগ অনুযায়ী খরচ হয়। ভক্তরা তাঁদের সাধ্যমতো ভোগ নিবেদন করতে পারেন, তাই খরচও সেই অনুযায়ী হয়। 

আরও পড়ুন

Advertisement

কৌশিকী আমাবস্যায় মাকে রাজবেশে সাজিয়ে পুজো করা হয়। দূর দূরান্তে থেকে আসে সাধু সন্ন্যাসীরা। ভক্তদের জন্য সারারাত খোলা থাকবে মন্দির। অগণিত ভক্তের ভিড় ঠেকাতে মন্দির চত্বরে নিরাপত্তাও বেশ আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতাধিক সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। থাকছে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা। এছাড়াও ওয়াচ টাওয়ার থেকে দিনভর নজরদারি চালানো হবে।
 

 

Advertisement