Laxmi Blessing: ভুলেও করবেন না এই ৫ কাজ, তাহলেই সদয় থাকবেন মা লক্ষ্মী

Laxmi Blessing: হিন্দুধর্মে, মা লক্ষ্মীকে সম্পদের দেবী হিসাবে গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি মানুষের জীবনে অর্থের গুরুত্ব অপরিসীম। কেউ কেউ অনেক টাকা পেয়েও খুশি হন না, আবার কেউ কেউ কষ্টার্জিত টাকায় সুখী জীবন যাপন করেন। কিন্তু আজকের বৈষয়িক যুগে সবাই অন্যের থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করতে চায়। যদিও তারা এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন, তবে অনেক সময় কঠোর পরিশ্রম করেও অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জিত হয় না। বলা হয় মা লক্ষ্মীর কৃপা ছাড়া জীবনে অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়। দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু ভুল ঘটে, যার কারণে লক্ষ্মীদেবী রেগে যান। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এমন ৫টি জিনিস আছে যা দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করে না। 

 

 

যারা এই ধরনের কাজ করেন তাদের উপর মা লক্ষ্মী খুশি হন না (Maa Lakshmi is not happy on those who do such work)

অলস
অলসতাকে শাস্ত্রে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু বলা হয়েছে। প্রায়শই লোকেরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে সিরিয়াস থাকেন না। অর্থাৎ যাঁরা অলস, তাঁদের ওপর মা লক্ষ্মী কখনও খুশি হন না। এই ধরনের লোকেরা আর্থিক জীবনে সফল হতে সক্ষম হন না। বলা হয় অলসতা দূর করলেই দেবী লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া যায়।

রাগ
 রাগ মানুষের সবচেয়ে বড় পাপ। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাগের কারণে ক্ষতির কথা বলেছেন। তিনি  বলেন যে একজন রাগান্বিত ব্যক্তি সম্মান থেকে বঞ্চিত হন। সবাই এমন লোকদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করে। তা ছাড়া মা লক্ষ্মীও এই ধরনের লোকের কাজে  খুশি হন না। তাই রাগ ত্যাগ করাই ভালো।

অহংকার 
 ধন-সম্পদ হোক বা জ্ঞান ও মর্যাদা হোক, সব পরিস্থিতিতেই অহংকার মানুষের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। প্রায়শই মানুষ সামান্য সাফল্য পেয়ে অহংবোধে মগ্ন হয়ে পড়ে। যারা নিজেকে অন্যের থেকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে শুরু করেন, মা লক্ষ্মী খুব শীঘ্রই এমন লোকদের সঙ্গ ছেড়ে দেন। 

লোভ
শাস্ত্রে বলা হয়েছে, লোভই পাপের কারণ- 'লোভঃ পাপস্য করণম' অর্থাৎ লোভ সর্বদাই মানুষের পাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। লোভী স্বভাবের মানুষদের প্রতি মা লক্ষ্মী কখনই প্রসন্ন হন না। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক মানুষেরই এই সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। 

যারা নিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করেন
 শাস্ত্রীয় বিশ্বাস অনুসারে, মা লক্ষ্মী কখনই এমন লোকদের উপর প্রসন্ন হন না, যারা অনুশাসন মানে না। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যারা সময়মত শৃঙ্খলার সাথে তাঁদের কাজ করেন, মা লক্ষ্মী তাদের উপর প্রসন্ন হন। তাই বলা হয় প্রতিটি মানুষের উচিত শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে যাবতীয় কাজ করা।

(Disclaimer:  এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা  এটি নিশ্চিত করে না।)