সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী সম্পদের দেবী লক্ষ্মী। যে বাড়িতে দেবী লক্ষ্মী থাকেন, সেখানে আর্থিক টানাটানি থাকে না। এজন্য লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে চান ভক্তরা। প্রতি বৃহস্পতিবার দেবীর আরাধনা করেন হিন্দুরা। বাংলায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোও হয় ঘটা করে। শুধু দেবীকে তুষ্ট করলেই হয় না ঘরে তুলসী চারাও রোপন করুন। নিয়মিত জল দিন তাতে। কথিত আছে, নিয়মিত তুলসীতে জল নিবেদন করলে সম্পদের দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। লক্ষ্মী প্রসন্ন হলে জীবনে সুখসম্পদ আসে। লক্ষ্মী ক্ষুব্ধ হলে জীবন বিপর্যস্ত হয়। সনাতনী বিশ্বাস অনুসারে, দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কাজ রয়েছে যা করলে রুষ্ট হন লক্ষ্মী। বিরক্ত হয়ে ঘর ছেড়ে চলে যান।
সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত
সনাতনী বিশ্বাস অনুসারে,সূর্যাস্তের আগে ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়। সূর্যাস্তের সময় ঘুমোলে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। যাঁরা সূর্যোদয়ের পরে দেরি করে ঘুমিয়ে থাকলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ মেলে না। কথিত আছে, সূর্যাস্তের সময় ঘুমিয়ে থাকলে দেবী লক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করেন না।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন মা লক্ষ্মী। যে বাড়িতে পরিচ্ছন্নতার খেয়াল রাখা হয় না সেখানে লক্ষ্মী এক মুহূর্তের জন্যও থাকেন না। সকালে ও সন্ধ্যায় ঘর ঝাঁট দেওয়া উচিত। নিয়মিত ঘর মোছা দরকার। পারলে সূর্যাস্তের আগের ঘর ঝাঁট দিন। তার পর ঝাড়ু দেবেন না। যেখানে নোংরা থাকে সেখানে মা লক্ষ্মী বাস করেন না।
খালি হাতে নুন
খালি হাতে কাউকে নুন দান করা উচিত নয়। এমনকি রান্নার সময় খালি হাতে নুন তরকারিতে দিতে নেই। কথিত আছে, এই অভ্যাসে রেগে যান লক্ষ্মী। তাই খালি হাতে কখনও নুনের কৌটোয় হাত দেবেন না। চামচ দিয়ে নুন ব্যবহার করুন। কাউকে দেওয়ার সময় ছোট পাত্রে দিন। সন্ধ্যার নুন দেওয়া-নেওয়া করবনে না।
খাবারের অসম্মান
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, খাবারের অপমান করলে মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। কথিত আছে,যে ঘরে অন্নের অপচয় হয় সেখানে লক্ষ্মী এক মুহূর্তও থাকেন না। সেই সঙ্গে খাবার খেতে খেতে উঠে যাওয়াও অশুভ। ভাত খেতে খেতে উঠে গেলে ক্রুদ্ধ হন দেবী। ঘরে আসে না সমৃদ্ধি।
আরও পড়ুন- সংসারে অশান্তি থেকে মানসিক অবসাদ, মাত্র ৫ টাকায় কাটান নজর দোষ