scorecardresearch
 

মাঘ পূর্ণিমার এই বিশেষ তিথিতে যে কোনও ইচ্ছে পূর্ণ হয়! জানুন পুণ্যস্নান ও দানের নিয়ম

মাঘ মাসের পূর্ণিমা অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমা (Maghi Purnima) খুবই শুভ। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে মাঘী পূর্ণিমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে করা হয় এদিন পুণ্যস্নানের ফলে পাপ কমে যায় ও মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। এই বিশেষ দিনে সত্যনারায়ণ, ভগবান বিষ্ণু ও  চন্দ্র দেবতার পুজো করেন। এদিন সূর্য এবং চন্দ্রের বিশেষ শক্তি প্রকৃতিতে থাকে। তাই গঙ্গা ও অন্যান্য নদীতে অনেকেই স্নান করার জন্যে ভিড় জমান। 

Advertisement
মাঘ পূর্ণিমার এই বিশেষ তিথিতে যে কোনও ইচ্ছে পূর্ণ হয় মাঘ পূর্ণিমার এই বিশেষ তিথিতে যে কোনও ইচ্ছে পূর্ণ হয়

মাঘ মাসের পূর্ণিমা অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমা (Maghi Purnima) খুবই শুভ। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে মাঘী পূর্ণিমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে করা হয় এদিন পুণ্যস্নানের ফলে পাপ কমে যায় ও মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। এই বিশেষ দিনে সত্যনারায়ণ, ভগবান বিষ্ণু ও  চন্দ্র দেবতার পুজো করেন। এদিন সূর্য এবং চন্দ্রের বিশেষ শক্তি প্রকৃতিতে থাকে। তাই গঙ্গা ও অন্যান্য নদীতে অনেকেই স্নান করার জন্যে ভিড় জমান। 

মাঘী পূর্ণিমার দিনক্ষণ

এই বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি পড়েছে মাঘী পূর্ণিমা। ২৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার বিকেল ৩ টা ৪৯ মিনিটে থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ২ টো ১৬ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণিমা থাকছে। 

কীভাবে স্নান করবেন


মাঘী পূর্ণিমাতে সঠিক নিয়ম মেনে স্নান করলে পুণ্য হয়। স্নানের পর সূর্য দেবতার পুজো করা ভালো এদিন। পরিষ্কার জামাকাপড় পরে মন্ত্রোচ্চারণ করতে হয় এই বিশেষ দিনে। তার মধ্যে সাদা রঙের জামা পরা আরও ভালো। এরপর সাধ্য মতো দান করতে হয়। যদি কারও কম সাধ্য থাকে, তবু সে অল্প পরিমাণ দান করছে, তাতেও তাঁর পুণ্য হয়। পুণ্যার্থীরা চাইলে উপোস করতে পারেন মাঘী পূর্ণিমায়। তবে নির্জলা উপোস না পারলেও ফল ও জল খেয়েও উপোস করা যায়।

আরও পড়ুন: বাবার স্বপ্নাদেশের ফলেই নাম হয়েছিল 'গদাই', রইল রামকৃষ্ণ পরমহংহদেবের অজানা কথা 

নয় গ্রহের উদ্দেশ্য দান

* সূর্যের জন্যে অনেকের হৃদরোগ হয়। তা থেকে বাঁচতে সূর্যদেবের উদ্দেশ্যে গম ও গুড় দান করুন। 

*চন্দ্রের জন্যে স্ট্রেস ও মানসিক সমস্যা হয়। তাই জল, চিনি অথবা দুধ দান করুন।

* মঙ্গলের জন্যে শরীরে রক্তের সমস্যা ছাড়াও মামলা সংক্রান্ত ঝামেলা আসতে পারে। সেই জন্যে লেটুস দিন।

Advertisement

* বুধের জন্যে ত্বক ও বুদ্ধিহীনতার সমস্যা হয়। তা থেকে বাঁচতে সবুজ শাক সবজি ও বৈঁচি ফল দান করা ভালো।

* বৃ্হস্পতির জন্যে আবার হজমের সমস্যা,মেদবৃদ্ধি, লিভারের রোগ হয়। সেই জন্যে কলা, ভুট্টা দান করা ভালো।

* ভেনাসের জন্যে চোখের সমস্যা ও ডায়বেটিস হয়। নিরাময় করতে ঘি, মাখন ও তিল দেওয়া ভালো।

* শনির জন্যে স্নায়ুর সমস্যা এবং দীর্ঘমেয়াদী রোগ দেখা দেয়। কালো তিল ও সর্ষের তেল দান করলে উপকার পাবেন।

* রাহু ও কেতুর প্রভাবে ভিন্ন ধরণের রোগের উৎপত্তি হয় শরীরে। এই সমস্যার সমাধানে সাত রকমের শস্য, কালো কম্বল ও জুতো দান করলে ভালো।

Advertisement