সামনেই শিবরাত্রি। মহাদেবের আশীর্বাদ কামনায় পুজো করবেন দেশের সকল প্রান্তের শিবভক্তরা। হিন্দু ধর্মে, ভগবান শিব 'ত্রিমূর্তি'-র অন্যতম। লোকমতে, শিবরাত্রিতে মহাদেবের নাম স্মরণ করলে তিনি সকল মনস্কামনা পূরণ করেন। তিনিই 'মহাকাল', 'মহেশ্বর' (সর্বোচ্চ ঈশ্বর) এবং 'পশুপতি' নামে পরিচিত। ভক্তদের বিশ্বাস, ভগবান শিবের আশীর্বাদ জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি মেলে। সমস্ত অশান্তি, বেদনা থেকে মুক্তি মেলে।
ভগবান শিবের আশীর্বাদের লক্ষণ:
অভ্যন্তরীণ শান্তি: যখন ভগবান শিব কোন ব্যক্তিকে আশীর্বাদ করেন, তখন তার মনে অভ্যন্তরীণ শান্তির অনুভূতি হয়। হঠাৎ আপনার প্রচন্ড শান্ত, চিন্তাহীন সময় গেলে বুঝবেন মহাদেব আপনাকে আশীর্বাদ প্রদান করেছেন।
আধ্যাত্মিক উন্নতি: ভগবান শিবের আশীর্বাদ আধ্যাত্মিক জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি তীব্র করে।
জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন: যখন ভগবান শিব কোন ব্যক্তির উপর কৃপা করেন, তখন তার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়।
সমস্যা ও বাধা অতিক্রম: ভগবান শিবের আশীর্বাদ জীবনের সমস্যা ও বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করে। বড়সড় বিপদ থেকেও অলৌকিকভাবে রক্ষা মেলে।
স্বপ্নে শিবের দর্শন: কখনও কখনও ভগবান শিব ভক্তদের স্বপ্নে দর্শন দেন, যা তাঁর আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
শিবের মন্ত্র জপের ফল: নিয়মিত 'মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র' বা 'ওঁ নমঃ শিবায়' জপ করলে ভগবান শিবের আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব।
শিবলিঙ্গে জল অর্ঘ্য: শিবলিঙ্গে নিয়মিত জল অর্ঘ্য প্রদান করলে ভগবান শিবের আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব।
শিবের প্রিয় দ্রব্য: ভগবান শিবের প্রিয় দ্রব্য যেমন, 'বেলপাতা', 'ধুতুরা', 'জল', 'দুধ' ইত্যাদি দিয়ে পুজো করলে তাঁর আশীর্বাদ মেলে।
ভগবান শিবের আশীর্বাদ লাভের জন্য নিয়মিত ভক্তি, পুজো এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন করা প্রয়োজন। হঠাৎ একদিন পুজো বা নিজের স্বার্থের কথা ভেবে পুজো করলে ফল পাবেন না.
দ্রষ্টব্য:
এই প্রতিবেদন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লেখা। এগুলি সম্পাদকের সুপারিশ বা পরামর্শ নয়।