জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা একাদশীকে নির্জলা একাদশী বলা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী বছরের ২৪টি একাদশীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই একাদশী। এই একাদশীর ব্রত চলাকালীন জল পান করা বারণ। তাই একে নির্জলা একাদশী বলা হয়। ধর্ম অনুযায়ী, এই ব্রত রাখলে অর্থ, কাম, ধর্ম এবং মোক্ষ প্রাপ্তি হয়। আরও বলা হয়, এই একটি একাদশীতে নির্জলা উপবাস রাখলে সারা বছরের সমস্ত একাদশীর পূন্য প্রাপ্তি হয়। এই ব্রতে ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা করা হয়।
ব্রত কথা:
শাস্ত্র অনুযায়ী একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়। তাই এই ব্রত পালন করলে তাঁর কৃপা দৃষ্টি পাওয়া যায়। মধ্যম পাণ্ডব ভীম একমাত্র এই একাদশীর উপবাস রেখেছিলেন। তবে ব্রত চলাকালীন তিনি মূর্ছিত হয়ে গিয়েছিলেন। তাই এই একাদশীকে ভীমসেন একাদশীও বলা হয়। এই একাদশীতে নির্জলা থেকে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে জীবনের সংকট থেকে মুক্তি মেলে এবং মোক্ষ প্রাপ্তি হয়। মনে করা হয়, এই ব্রত রাখলে ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চার পুরুষার্থের প্রাপ্তি হয়।
নির্জলা একাদশীর শুভ মুহূ্র্ত:
একাদশীর তিথি প্রারম্ভ - ২০ জুন বিকেল ৪টে ২১ মিনিট
একাদশীর তিথি সমাপ্ত - ২১ জুন দুপুর ১টা ৩১ মিনিট
ব্রত পালনের সময় - ২২ জুন ভোর ৫টা ২৪ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ১২ মিনিট পর্যন্ত
যা মেনে চলা উচিত:
মান্যতা অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে মা লক্ষ্মীর পূজা করলে সকল মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। তবে কিছু বিশেষ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। জেনে নিন কী কী সেই বিষয়গুলি।
- ব্রত শেষ করার পরই জল পান করুন
- ব্রত পালনের সময় কারও প্রতি দ্বেষ হিংসা রাখবেন না
- কোনও ভাবেই তর্ক-বিতর্কে জড়ানো উচিত নয়
- ব্রত পালন করলে সে দিন ভাত জাতীয় কোনও জিনিস খাওয়া চলবে না
- ব্রত চলাকালীন ভগবান বিষ্ণুর ধ্যান করে তাঁর মন্ত্রোচ্চারণ করতে হবে
- ভগবান বিষ্ণুকে তলসি অর্পণ করতে হবে
- এই দিনে দান করলে তার শুভ ফল পাওয়া যায়। তাই কোনও ব্যক্তিকে অন্ন, জল, বস্ত্র ইত্যাদি দান করলে তা আপনার পক্ষে শুভ হবে