জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রতিটি মানুষ নিজের সৌভাগ্য এবং দুর্ভাগ্য নিয়েই জন্মান। সব কিছুই পূর্বনির্ধারিত। ব্যক্তির স্বভাব ও প্রকৃতি স্থির দেয় কখন তিনি জন্মাচ্ছেন তাঁর উপরে। এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা কম পরিশ্রম করেও সব কিছু পান। আবার অনেকে কঠোর পরিশ্রমের পরেও সুখী জীবনযাপন করতে সক্ষম হন না। সংখ্যাশাস্ত্রে এমন কিছু জন্ম তারিখ বলা হয়েছে, যেগুলিতে জন্ম নেওয়া কন্যাসন্তানরা সৌভাগ্য নিয়ে আসেন। তাঁদের জন্য় উন্নতি হয় বাবার।
সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে,ব্যক্তির জন্মতারিখের মূলাঙ্ক ১ থেকে ৯ পর্যন্ত হতে পারে। কারও জন্ম ১৫ তারিখে হলে তাঁর মূলাঙ্ক হবে ১ ও ৫-র যোগফল ৬। একইভাবে কারও জন্ম ১৭ তারিখে হলে মূলাঙ্ক ৮। তেমনই ৩, ১২ এবং ২১ তারিখে জন্ম নেওয়া মেয়েদের মূলাঙ্ক হয় ৩। আর এই ৩ মূলাঙ্কের মেয়েরা হন প্রচণ্ড ভাগ্যবতী। মা লক্ষ্মীর আশিস পান তাঁরা। এই মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকারা খুব পরিশ্রমী, বুদ্ধিমান এবং দয়ালু প্রকৃতির হন। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেন। যে কাজই তাঁরা হাতে নেন তা সম্পন্ন করেন। সব কাজেই সাফল্য পান। কেরিয়ারে অনেক দূর এগিয়ে যান তাঁরা। মা-বাবার নামযশ বাড়ান।
৩ মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকারা পারিবারিক ও পেশাগত জীবন দুটোই সঙ্গে নিয়ে চলতে বিশ্বাসী। ভাল নেতৃত্বগুণ তাঁদের। মূলাঙ্ক ৩-র মেয়েরা সবসময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে যান। তাঁরা অন্য কারও দুঃখ-দুর্দশা দেখতে পারেন না। তেমন নিজেরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেও পছন্দ করেন। স্বাধীন জীবন কাটান। তাঁরা কারও কাছে মাথা নত করেন না।
৩ মূলাঙ্কের জাতিকারা জন্ম থেকেই হন ভাগ্যবতী। তাঁদের জীবনে কোনও অভাব থাকে না। জন্মের পরই তাঁর বাবার সময় বদলায়। বাড়িত ইতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে। মা লক্ষ্মী সব সময় এই মেয়েদের প্রতি সদয় হন। জীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে ওঠে। অনেক টাকা খরচ করে ফেলেন তাই সঞ্চয় করতে অসুবিধা সম্মুখীন হন এই মূলাঙ্কের মেয়েরা।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর বিপদ আসছে, ইঙ্গিত দেয় এই ঘটনাগুলি, আগেভাগে সতর্ক হোন