আর কয়েকদিন পরেই পয়লা বৈশাখ (Pohela Boishakh 2022)। অর্থাৎ নববর্ষ, বা বাংলা বছরের প্রথম দিন। আর বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের সূচনাও হয়ে যায় এই দিন থেকেই। বাঙালির জীবনে এই দিনটির আবেগ ও ঐতিহ্য বরাবরই অন্যরকম। কেউ গঙ্গাস্নান করে, কেউ মন্দিরে পুজো দিয়ে, কেউ আবার পরিবার বন্ধুবান্ধব নিয়ে দেদার খাওয়া দাওয়ার মধ্যে দিয়ে উদযাপন করেন দিনটি। ব্যবসায়ীদের কাছে আবার এই দিনটির গুরুত্ব আরও বেশি। হালখাতার মধ্যে দিয়ে নতুন বছরের ব্যবসাবাণিজ্য শুরু করেন তাঁরা। পয়লা বৈশাখের এমনই কিছু রীতি-রেওয়াজ ও সেগুলির গুরুত্ব সম্পর্কে এবার জেনে নেওয়া যাক।
গঙ্গাস্নান - পয়লা বৈশাখের পুণ্য প্রভাতে অনেকেই গঙ্গাস্নান করে থাকেন। গঙ্গাস্নানের পর নতুন পোশাক পরে ও ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে শুরু করেন নতুন বছর। অনেকেরই বিশ্বাস, এই দিন গঙ্গাস্নানের পর পূজার্চ্চনা করলে নতুন বছর শুভ যায়।
মন্দিরে পুজো - নববর্ষের দিন পুজোপাঠকে অনেকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। কেউ কেউ নিত্যসেবার মধ্যে দিয়ে বাড়িতেই পুজো সেরে নিলেও অনেকেই আছেন যাঁরা এই দিনে মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এককথায় ভগবানের আশীর্বাদ নিয়েই নতুন বছর শুরু করেন বেশিরভাগ মানুষ।
হালখাতা - অধিকাংশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেই এদিন হিসেবের নতুন খাতার উদ্বোধন করা হয়, যার পোশাকি নাম হালখাতা (Halkhata)। এই উপলক্ষে সিদ্ধিদাতা গণেশ ও মা লক্ষ্মীর পুজোর আয়োজনও করা হয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে। অনেকে আবার বিভিন্ন মন্দিরে গিয়েও খাতা পুজো সেরে আসেন।
মিষ্টিমুখ ও খাওয়া দাওয়া - বাঙালির উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টিমুখ হবে না তা তো হতে পারে না! তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই পয়লা বৈশাখেরও চলে মিষ্টি খাওয়ার পালা। পয়লা বৈশাখের অন্যতম মিষ্টি হল দরবেশ বা লাড্ডু। এছা়ড়া মিষ্টির পাশাপাশি জমিয়ে ভুরিভোজও নববর্ষের অন্যতম অঙ্গ।
নতুন ক্যালেন্ডার - পয়লা বৈশাখের আরও এক বিশেষ প্রাপ্তি হল নতুন বাংলা ক্যালেন্ডার। অর্থাৎ এই দিনের নতুন বছরের বাংলা ক্যালেন্ডার হাতে পেয়ে যায় বাঙালি।
আরও পড়ুন - দাদা সাহেব ফালকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সুচিত্রা, কেন?