বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরের প্রতিটি জিনিসই একজন ব্যক্তির জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। কিছু জিনিস ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করে, আবার কিছু জিনিস নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে। যখন কোনও বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, তখন এটি সরাসরি পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য, সম্পর্ক, মানসিক শান্তি এবং আর্থিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলে।
এছাড়াও বিশ্বাস করা হয় যে দেবী লক্ষ্মী সেইসব বাড়িতে থাকেন যেগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং ইতিবাচক শক্তিতে পরিপূর্ণ। তবে, যদি বাড়িতে এমন কোনও ক্ষতিগ্রস্ত জিনিস থাকে যা বাস্তু ত্রুটি তৈরি করে, তাহলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। ফলস্বরূপ, অর্থের অভাব, পারস্পরিক উত্তেজনা এবং অগ্রগতির পথে বাধার মতো সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। আসুন এই বিষয়গুলি জেনে নিই।
১. ভাঙা ঘড়ি
বাড়িতে ভাঙা বা বন্ধ ঘড়ি রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়। বাস্তু অনুসারে, বন্ধ ঘড়ি স্থবিরতা, স্থবিরতা এবং জীবনে অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করে। এটি পরিবারের সদস্যদের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং আর্থিক সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই, বাড়িতে সর্বদা একটি কার্যকর ঘড়ি রাখুন এবং অবিলম্বে ভাঙা ঘড়িটি সরিয়ে ফেলুন।
২. মরচে পড়া লোহা
ভাঙা এবং মরচে পড়া লোহার জিনিসপত্র ঘরের শক্তির উপর প্রভাব ফেলে। এগুলো দারিদ্র্য এবং নেতিবাচকতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বাড়িতে মরচে পড়া লোহা জমে কর্মক্ষেত্রে ব্যর্থতা, আর্থিক ক্ষতি এবং স্বাস্থ্য সমস্যা ডেকে আনে। তাই, এই ধরনের জিনিসপত্র অবিলম্বে ঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন।
৩. ছাদে আবর্জনা
অনেকেই তাদের বাড়ির ছাদে পুরনো জিনিসপত্র বা আবর্জনা রাখেন। তবে, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ছাদে আবর্জনা ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি বাসিন্দাদের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়ায় এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদও দূর করে। ছাদ এবং ঘর সর্বদা পরিষ্কার রাখুন।
৪. মৃত আত্মীয়দের পোশাক
মৃত আত্মীয়দের পুরনো জিনিসপত্র, বিশেষ করে তাদের পোশাক, ঘরে রাখা উচিত নয়। এটি করলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মনে অশান্তি তৈরি হয়। এই পোশাকগুলি দান করা বা সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করা ভাল।