Tirupati Balaji Laddu Prasad: অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলায় অবস্থিত তিরুপতি বালাজির মন্দির লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশ্বাসের একটি বড় কেন্দ্র। যেখানে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলে বিবেচিত ভগবান শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী উপবিষ্ট। এই মন্দিরটি শুধুমাত্র দেশের সবচেয়ে ধনী মন্দিরের তালিকার শীর্ষে থাকার জন্যই নয়, এর মহাপ্রসাদ খাঁটি ঘিয়ের লাড্ডুর জন্যও বিশ্বজুড়ে পরিচিত। যা এখানে আগত ভক্তদের 'প্রসাদম' বা নৈবেদ্যম হিসাবে দেওয়া হয়। লাড্ডু, যা তিরুপতি বালাজির মহাপ্রসাদ হিসাবে বিবেচিত হয়, খাঁটি বেসন, বোঁদে, চিনি, কাজু এবং খাঁটি ঘি ইত্যাদির সাহায্যে 'পোটু' নামের গোপন রান্নাঘরে প্রস্তুত করা হয়।
কোম্পানি ঘি দিতে অস্বীকার করে
লাড্ডু তৈরিতে ব্যবহৃত ঘি নিয়ে সংকটের সম্ভাবনা রয়েছে, যা তিরুপতি বালাজির ভক্তরা শুধুমাত্র মন্দিরে যেতে পারবেন না, ভারত ও বিদেশে তাদের বাড়ি থেকেও অর্ডার করতে পারবেন, কারণ এটি সরবরাহকারী সংস্থা KMF (কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন) বাড়তি ছাড় দিয়ে বিশেষ হারে দেবস্থানগুলিতে ঘি সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, তিরুপতি দেবস্থানম এবং কেএমএফের মধ্যে গত পাঁচ দশক ধরে একটি অটুট সম্পর্ক রয়েছে। কেএমএফের তৈরি নন্দিনী নামের দেশি ঘি এই মন্দিরে মহাপ্রসাদ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন গত ছয় মাসে ১৪ লাখ টাকার ঘি এই দেবস্থানে সরবরাহ করেছে।
কোম্পানি আর ঘি দিতে চাইছে না
কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন গত ৬ মাসে বিশেষ ভর্তুকি মূল্যে ১৪ লক্ষ কিলো ঘি তিরুপতি দেবস্থানে সরবরাহ করেছিল। কিন্তু এখন এই মন্দিরের জন্য আগের দরপত্রে কম দামে নন্দিনী ঘি সরবরাহ করতে পারবে না বলেই জানিয়েছে KMF। সংস্থার যুক্তি যে, কর্ণাটকে দুধের ঘাটতির কারণে এখন তার দাম বাড়ানো বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণেই কম দামে ঘি বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে KMF। সংস্থার দাবি যে কোনও সংস্থা যদি কম দামে তিরুপতি দেবস্থানমে ঘি সরবরাহের জন্য বিড করে, তবে এটি অবশ্যই তার ঘিয়ের মানের সঙ্গে আপস করতে হবে। যার প্রভাব সরাসরি পড়বে ভগবান তিরুপতির প্রসাদে।
তিরুপতি বালাজির মন্দিরে লাড্ডু একটি বিশেষ উপায়ে প্রস্তুত করা হয়
তিরুপতি বালাজির প্রসাদের লাড্ডু শুধুমাত্র মন্দিরের কিছু বিশেষ রন্ধন প্রণালীতে ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয়। তবে প্রসাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে একটি মেশিনও এসেছে, যার সাহায্যে দিনে প্রায় ৬ লাখ লাড্ডু তৈরি করা হয়। শুধু লাড্ডু তৈরির পদ্ধতিই অনন্য নয়, এর ওজন, স্বাদ ইত্যাদিও নির্ধারণ করা হয়। নন্দিনী ঘি পাওয়া না গেলে এই মহাপ্রসাদের দীর্ঘদিনের স্বাদ বদলে যেতে পারে। তাই এখনও দুই পক্ষের মধ্যে সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে।