তবে মা কালীকে সবাই সাত্বিকভাবে পুজো করতে পারেন। কিন্তু তন্ত্রমতে পুজো করতে গেলে অভিজ্ঞ পুরোহিতের মাধ্যমে করানোই শ্রেয়। না হলে ফল উলটোও হতে পারে।
এই অমাবস্যায় কিছু সহজ উপায় মেনে চললে মা কালীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়—
১. শনিদোষ মুক্তি:
শনির কষ্টে ভুগছেন? কালীপুজোর দিন সরষের তেল, কালো তিল আর কালো বিউলির ডাল নিয়ে কালী মন্দিরে যান। সেগুলি দিয়ে মাকে পুজো করুন। বিশ্বাস, এই উপায়ে শনির প্রভাব অনেকটাই কমে যায়।
২. মনস্কামনা পূরণের সাধনা:
পুজোর দিন ও তার পরের শুক্রবার স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরে কালী মন্দিরে যান। ধূপ জ্বালান, গোলাপ ফুল অর্পণ করুন। দেবীর সামনে বসে আন্তরিক প্রার্থনা করুন। টানা ২১ শুক্রবার এভাবে পুজো করলে মা কালীর কৃপায় সমস্ত মনোবাসনা পূর্ণ হয়। সঙ্গে ওড়না, চুড়ি এবং পাঁচ রকম মিষ্টি নিবেদন করলে ফল আরও দ্রুত মেলে।
৩. আইনি জট থেকে মুক্তি:
যদি কোনও মামলায় বা আইনি ঝঞ্ঝাটে জড়িয়ে থাকেন, তবে কালীপুজোর দিন থেকে শুরু করে টানা ৯ দিন দেবীর সামনে সুগন্ধি ধূপ জ্বালান। বিশ্বাস, এতে বাধা দূর হয়ে সমস্যার নিষ্পত্তি হয়।
৪. মানসিক শান্তি ও পারিবারিক সুরক্ষা:
অমাবস্যার রাতে কিংবা পরবর্তী শুক্রবার কালী মন্দিরে গিয়ে নিজের সমস্ত ভুলের জন্য মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। প্রতিজ্ঞা করুন, আর কোনও খারাপ কাজ করবেন না। টানা ৫ শুক্রবার এভাবে করলে মানসিক অবসাদ দূর হয়, পারিবারিক শান্তি ফিরে আসে। তবে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে কালীর রোষ নেমে আসতে পারে বলেও শাস্ত্রে উল্লেখ আছে।
৫. আর্থিক উন্নতির টোটকা:
যাঁদের মনে হয় অর্থভাগ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে বা কেউ যেন লক্ষ্মীকে আটকে রেখেছেন, তাঁরা প্রতিদিন ধূপকাঠি জ্বালিয়ে কালীকে প্রণাম করুন। প্রতি শুক্রবার কালী মন্দিরে গিয়ে পুজো করুন এবং অর্থলাভের প্রার্থনা জানান। বিশ্বাস, এই উপায়ে ধীরে ধীরে অভাব কেটে গিয়ে সৌভাগ্যের দরজা খুলে যায়।
অমাবস্যার রাত তাই শুধু উপাসনার সময় নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও মুক্তিরও সময়। নিয়ম মেনে, বিশ্বাস রেখে মা কালীর শরণ নিলে জীবনের সব দুঃখ, ভয় আর অভাব মিলিয়ে যায় অন্ধকারের মতোই, যেমন মিলিয়ে যায় অমাবস্যার রাতের ছায়া।