Shaniwar Astrology Tips : প্রত্যেক শনিবার করুন এই কাজ, কপাল ফিরতে বাধ্য

শনিবার শনিদেবকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে করা প্রতিকার ও পুজো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে এবং শনিদেবের কৃপায় ভক্তদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। শুধু তাই নয়, ব্যক্তির সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয় এবং আটকে থাকা কাজগুলিও গতি পায়। এই সময়ে করা সমস্ত কাজ শনিদেবের কৃপায় সম্পন্ন হয়।

শনিদেব (Shanidev) ন্যায়ের দেবতা হিসেবে পরিচিত। কথিত আছে, শনিদেব মানুষের ভাল-মন্দ কাজের হিসাব রাখেন এবং সেই অনুযায়ী ফল দেন। এমতাবস্থায় শনিদেবকে (Saturn Planet) সন্তুষ্ট করে ভাল কাজ করলে কোনও মানুষের ফকির থেকে রাজা হতে সময় লাগে না। জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবকে খুশি করতে শনিবার সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালানো হয়। তাই শনিদেবের কৃপায় ধন্য হতে চাইলে শনিবার সর্ষের তেলের প্রদীপ দ্বালাতে পারেন।

শনিবারের প্রতিকার
১. জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য শনিবার কিছু বিশেষ কাজ করলে, রাতারাতি বদলে যেতে পারে ভাগ্যের চাকা। শনিবার সন্ধ্যায় শনিদেবের সামনে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। এছাড়াও, তাতে একটি লবঙ্গ রাখুন। এই প্রতিকার খুব কার্যকর বলে মনে করা হয় হয়।

২. মনে করা হয় এই প্রতিকার করলে ভক্তরা শনিদেবের আশীর্বাদ পান এবং ব্যক্তির আর্থিক অবস্থার প্রভূত উন্নতি ঘটে।

৩. এমনও বলা হয় যে শনিবারে লবঙ্গের এই প্রতিকার নিয়মিত করলে ব্যক্তির জীবনে কখনওই আর্থিক কষ্ট আসে না, বরং অর্থনৈতিক অবস্থা আরও অনেক মজবুত হয়।

৪. জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে শনি ও মঙ্গল গ্রহের আশীর্বাদ পেতে নিয়মিত কেরোসিনের প্রদীপ জ্বালান। তবে খেয়াল রাখবেন একটি বাতি যেন একবারই ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয়বার ফের পরিষ্কার এবং নতুন বাতি নিন।

৫. অনেকে বলেন, শনিবার বাড়ির পশ্চিম দিকে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালালে সমস্ত নেতিবাচকতা দূর হয়। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে মানুষের কষ্টও দূর হয়ে যায়।

৬. শনিবার রাতে ময়দার ২টি প্রদীপ বানিয়ে তাতে সর্ষের তেল দিন। বাড়ির প্রধান দরজায় এই বাতি রাখুন। রাখার আগে তাতে কিছু কালো তিল এবং উরদের বীজ দিতে ভুলবেন না। তাতে শনিদেবের কৃপা বজায় থাকবে।

৭. জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে শনিবার শনিদেবের মন্দিরে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে তাতে কালো তিল রাখলে শনিদেব অবশ্যই প্রসন্ন হন।

৮. এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে শনিবার প্রবাহমান জলে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে দারিদ্র্য দূর হয় এবং ব্যক্তি অর্থ লাভ করেন।

(Disclaimer : প্রতিবেদনটি ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে লেখা। ব্যক্তি বিশেষে ফলাফল ভিন্ন হতে পারে।)

আরও পড়ুন - বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাড়বে তাপমাত্রা, কবে?