How to Impress Shanidev: শনিদেব একইসঙ্গে ভয়ংকর ও পরম দয়ালু গ্রহের প্রতীক। শনি গ্রহ জীবনের দুঃখ-কষ্ট, কর্মফল এবং ন্যায় বিচারের কারক। যাঁর উপর শনির কৃপা থাকে, তিনি বিপদের মধ্যেও উঠে দাঁড়াতে পারেন। আবার যাঁর উপরে শনির রোষ পড়ে, তাঁর জীবন হয়ে ওঠে দুঃসহ। কিন্তু জানেন কি, রোজ মাত্র কয়েকটি ছোট ছোট কাজ করলেই শনিদেব খুশি হন? তুষ্ট হন সহজেই।
এই প্রতিবেদনে রইল শনিদেবকে খুশি করার জন্য রোজকার কিছু সহজ টিপস। এগুলো পালন করলেই শনির কৃপা আপনার জীবনে ধীরে ধীরে আসতে শুরু করবে।
১. প্রতিদিন সকালে কালো তিল দান করা
শনিদেব কালো রঙ এবং তিলকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করেন। প্রতিদিন সকালে এক চিমটে কালো তিল নদীতে বা পুকুরে দান করলে শনির কৃপা লাভ হয়। এটি শনির দোষ প্রশমনের অন্যতম সহজ উপায়।
২. শনিবার অশ্বত্থ গাছে জল দেওয়া
শনিবার দিন অশ্বত্থ বা পিপল গাছে জল ঢেলে সাতবার প্রদক্ষিণ করলে শনিদেবের কৃপা বর্ষিত হয়। পিপল গাছকে শনির প্রতীক বলা হয়।
৩. কৃষ্ণবর্ণ বা দরিদ্র মানুষকে দান
শনিদেব গরিব ও শোষিত মানুষের সেবায় অত্যন্ত খুশি হন। প্রতিদিন না পারলেও প্রতি শনিবার কিছু পুরনো কাপড়, কালো ছোলা, উড়দ ডাল, লোহা কিংবা তেল দান করলে তিনি সন্তুষ্ট হন।
৪. কুকুর ও কাককে রুটি খাওয়ানো
কুকুর ও কাক শনির বাহন বলে মনে করা হয়। রোজ সকালে কুকুরকে দুধ-রুটি এবং কাককে খিচুড়ি বা সিদ্ধ ভাত দিলে শনিদেব তুষ্ট হন। এটা করলে শনির কুদৃষ্টি কমে।
৫. শনি মন্দিরে সর্ষের তেল দান
শনিবার সকালে শনি মন্দিরে গিয়ে এক বোতল সর্ষের তেল দান করলে শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এই তেল শনিদেবের মূর্তির উপরে ঢেলে দিলে শুভ ফল মেলে।
৬. শনি চালিসা পাঠ
প্রতিদিন অথবা প্রতি শনিবার “শনি চালিসা” পাঠ করলে মন শান্ত হয়, চিন্তা কমে এবং শনির কৃপা লাভ হয়। অনেকেই সূর্যাস্তের পরে এই পাঠ করে থাকেন।
৭. অহংকার না করা
শনিদেব অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ। অহংকারী, নিষ্ঠুর বা দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে তিনি কদাপি ক্ষমা করেন না। তাই দৈনন্দিন জীবনে বিনয়ী থাকা, সত্যবাদী হওয়া এবং নিজের কর্মে সততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
রোজের জীবনে একটু নিয়ম মেনে চললে শনির কৃপা পাওয়া যায়। এগুলো কঠিন কিছু নয়—সামান্য কিছু কাজ। কিন্তু ফল অত্যন্ত শুভ। শুধু শনিবার নয়, প্রতিদিন জীবনে একটু শুদ্ধতা আনলেই শনিদেব সন্তুষ্ট হন। রাশিফল অনুযায়ী শনির সাড়ে সাতি বা ধৈয়িয়া চলাকালীন এই কাজগুলি বিশেষ উপকারী। যাঁরা কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন বা জীবনে একের পর এক বাধা আসছে, তাঁরা এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
দ্রষ্টব্য: রাশি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জ্যোতিষ ও লোকমতভিত্তিক। এগুলি সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ বা সুপারিশ নয়।