জেগে থাকা অবস্থায় সচল থাকে শরীর। আর ঘুমিয়ে পড়লে সক্রিয় হয়ে ওঠে অবচেতন। ঘুমন্ত ব্যক্তিকে দেখলে তাঁর মনের অবস্থা বোঝা যায়। বর্তমান সময় কেমন যাচ্ছে সেটাও বলে দেয় ঘুমোনোর ভঙ্গি। ওই ব্যক্তির রাশি কী সেটাও ঠিকঠাক আন্দাজ করে নেওয়া যায়। ঘুমের ভঙ্গি পরিবর্তন হলে মনের অবস্থাও বদলে যায়, এটা জানেন? ঘুমের সেই রহস্য রইল এই প্রতিবেদনে।
ঘুমোনোর সময় এপাশ-ওপাশ
ঘুমানোর সময় ওপাশ-ওপাশ করলে সেই ব্যক্তির শনি বা শুক্র শক্তিশাল। এই ধরনের ব্যক্তিরা সবসময় তাঁদর মনে কথা গোপন রাখে। তাঁরা কখনও গোপন কথা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করেন না। বুক ফাটলেও মুখ খোলেন না তাঁরা, সে যতই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যান না কেন। এই ধরনের ব্যক্তিরা জীবনে সম্মান, খ্যাতি ও অর্থ উপার্জনে সক্ষম হন।
বিছানাজুড়ে ঘুম
অনেকে গোটা বিছানাজুড়েই ঘুমোন। তাঁরা মঙ্গল বা সূর্য দ্বারা প্রভাবিত হন। এই ধরনের ব্যক্তিরা জীবনে কিছু অর্জন করতে গেলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাই জোর করে কাঙ্ক্ষিত জিনিস পেতে চান। তাঁদের কথার ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এই ধরনের লোকেরা সহজে রেগে যায়।
সোজা হয়ে ঘুম
সূর্য এবং শনির মিশ্র প্রভাব থাকলে একদম সোজা হয়ে ঘুমোন কোনও ব্যক্তি। এই ধরনের ব্যক্তিরা নিয়ম এবং শৃঙ্খলার দিক থেকে খুব কঠোর হন। এই ব্যক্তিরা ঠিক কাজটা সময়ে করতে ওস্তাদ। তাই জীবনে উন্নতিও করেন। তবে তাঁদের সংসার জীবন সুখের হয় না।
পর্যাপ্ত ঘুমোনো
এই ধরনের ব্যক্তিদের উপর সম্পূর্ণভাবে শুক্রের প্রভাব রয়েছে। জীবনে ভাল কিছু ঘটুক বা খারাপ- কোনওটাই দীর্ঘ সময়ের জন্য তাঁদের প্রভাবিত করে না। ফল যাই হোক না কেন, এই ব্যক্তিরা নিজের ইচ্ছায় জীবনযাপন করেন। ভাগ্য এবং খ্যাতি সবসময় তাঁদের সঙ্গে থাকে। তাঁরা জীবনে প্রচুর টাকা কামান। তবে বিভিন্ন সময় তাঁদের একাকীত্বেই কাটাতে হয়।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর রুষ্ট হন শনিদেব, এই ২ রাশি লাল সুতো পরলেই বিপদ-অঘটন