সংসারে শান্তি, সমৃদ্ধি, সুখ কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় আমরা নিজেদের অজান্তেই এমন কিছু ছোট ছোট কাজ করি, যেগুলি গৃহলক্ষ্মীকে অসন্তুষ্ট করে। এর ফলে ঘরে অশান্তি, অর্থকষ্ট, এমনকি সম্পর্কেও টানাপোড়েন শুরু হয়। বাস্তু শাস্ত্র বলছে, এই ভুলগুলি এড়াতে পারলে বাড়িতে সৌভাগ্য ও শান্তির পরিবেশ ফেরে।
ময়লা বা অগোছালো ঘর
গৃহলক্ষ্মী সর্বদা পরিষ্কার স্থানে থাকেন। ঘর অগোছালো থাকলে, বিশেষ করে রান্নাঘর বা বাড়ির প্রবেশদ্বার যদি নোংরা থাকে, তবে মা লক্ষ্মী দূরে সরে যান। তাই প্রতিদিন ঘর ঝাঁট দিয়ে গুছিয়ে রাখা জরুরি। সন্ধ্যার পর অবশ্য ঝাঁট দেওয়া উচিত নয়। ঘরের আসবাব, বিছানার চাদর পুরনো হোক, তা যেন নোংরা কখনই না হয়।
ভাঙা দরজা বা নেমপ্লেট
অনেকের বাড়ির মূল ফটকের দরজাই অযত্নে থাকে। ভাঙা, জঙ ধরা গ্রিল, পুরনো দরজা, এমনকি নেমপ্লেটও অস্পষ্ট, ফাটা। এগুলি অশুভ বলে ধরা হয়। পুরনো বা মরচে পড়া গ্রিল সঙ্গে সঙ্গে বদলে ফেলুন। নিয়মিত রঙের প্রলেপ দিন। কারণ বাড়ির প্রবেশদ্বারই গৃহলক্ষ্মীর আগমনের পথ।
রান্নাঘর গুছিয়ে রাখুন
রান্নাঘর লক্ষ্মীর স্থান। যদি গ্যাস স্টোভ নোংরা থাকে, তেল বা ময়লা জমে থাকে, তাহলে তা গৃহলক্ষ্মীর অপছন্দ। প্রতিদিন রান্না শেষে সব পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে একদিন পুরো রান্নাঘর ধোয়া মোছা করুন। এটি হাইজিনের দিক থেকেও অত্যন্ত জরুরি। ফ্রিজে অনেকদিন ধরে বাসি খাবার রেখে দেবেন না।
উত্তর বা পশ্চিম দিকে আবর্জনা ফেলবেন না
বাস্তু মতে, বাড়ির উত্তর ও পশ্চিম দিক সম্পদের দিক। এই দিকে ময়লা বা আবর্জনা ফেলা উচিত নয়। এতে অর্থভাগ্য নষ্ট হয়, গৃহলক্ষ্মী কষ্ট পান। আবর্জনার ডাস্টবিন রাখুন দক্ষিণ-পূর্ব দিকে।
ভাঙা বাসন বা ঘড়ি
ভাঙা বাসন, ফাটা আয়না বা বন্ধ ঘড়ি কখনও ঘরে রাখবেন না। এগুলি অশুভ শক্তি আকর্ষণ করে। পুরনো ও অচল জিনিস ঘরে জমে থাকলে গৃহলক্ষ্মী বিরক্ত হন। তাই সময়ে সময়ে বাড়ি থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন।
সন্ধ্যায় ঘর অন্ধকার রাখা
সন্ধ্যা নামলেই আলো জ্বালানো শুভ। অনেকে আলোর অপচয় ভেবে ঘর অন্ধকার রাখেন, কিন্তু বাস্তু মতে সেটি গৃহলক্ষ্মীর প্রতি অসম্মান। বিশেষ করে মূল দরজা ও পুজার ঘরে প্রদীপ বা আলো জ্বালান। এতে ইতিবাচক শক্তি বাড়ে। বিদ্যুত বাঁচাতে চাইলে সেক্ষেত্রে কম ওয়াটের LED লাইট ব্যবহার করুন।
পরিচ্ছন্নতা, আলো, আর পরিপাটি রাখা; এই তিনই গৃহলক্ষ্মীর প্রিয়। তাই ছোট ছোট অভ্যাস বদলালেই ঘরে আসবে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
দ্রষ্টব্য: রাশি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জ্যোতিষ ও লোকমতভিত্তিক। এগুলি সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ বা সুপারিশ নয়।