স্বস্তিক চিহ্নকে শুভ বলে মনে করা হয় সনাতন ধর্মে। স্বস্তিক ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক। লোকবিশ্বাস, নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধির পথ খুলে দেয় স্বস্তিক। এ কারণেই কোনও শুভ কাজের আগে বা বিশেষ পুজোর সময় বাড়ির প্রধান দরজায় একটি স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়।
সনাতন ধর্ম অনুসারে, স্বস্তিক প্রতীকে সমান্তরাল আকারে ৪টি দিক থাকে। এই চারটি দিক প্রকৃতির চারটি উপাদানের প্রতীক। চারটি বাহু সামান্য ডানদিকে বাঁকানো হয়। স্বস্তিক শব্দটি ৩টি অক্ষর দিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে সু, অস্তি এবং ক অক্ষর। এগুলোর মধ্যে সু মানে ভাল, অস্তি মানে অস্তিত্ব এবং ক অর্থ কর্তা। অর্থাৎ- যিনি শুভকাজ করেন। এই কারণেই এই স্বস্তিক প্রতীকটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
কেন বাড়ির প্রধান দরজায় রাখা হয়?
স্বস্তিক চিহ্ন শুধুমাত্র বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে তৈরি করা হয়। এর একটা বড় কারণও রয়েছে। আসলে জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে সমস্ত শুভ-অশুভ শক্তি শুধুমাত্র প্রধান দরজা দিয়েই ঘরে প্রবেশ করে। তাই বাড়ির প্রধান গেটে স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করলে তা রক্ষকের মতো ঘরে নেতিবাচক শক্তিকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
লোকবিশ্বাস, বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে একটি স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করলে, দারিদ্র্য এবং রোগ বাড়িতে প্রবেশ করে না। পরিবার সর্বদা সুখী এবং সমৃদ্ধ থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির প্রধান ফটকে সবসময় হলুদ দিয়ে একটি স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করা উচিত। হলুদের আয়ুর্বেদিক গুণ রয়েছে। এটি ভাইরাস, জীবাণু এবং নেতিবাচক শক্তির সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে একটি স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করার কথা ভাবলে সঠিক দিকে করুন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, স্বস্তিক চিহ্ন সর্বদা উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে তৈরি করা উচিত। এই দিকগুলিতে একটি স্বস্তিক তৈরি করলে, দেবতা এবং দেবতার আশীর্বাদ সর্বদা পরিবারের ওপর থাকে।
আরও পড়ুন- সাদা না লাল, বাড়ির পুজোয় কোন তুলসী পাতা লাগে? জানুন ৪ নিয়ম