সনাতন ধর্মে কোনও নির্দিষ্ট দেবদেবী নয়। ত্রিদেব থেকে শুরু করে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতী পূজিত হন। সব দেবদেবীর মূর্তি আলাদা। তাঁদের পুজো আলাদা। প্রত্যেকের জন্য পুজো পদ্ধতি আলাদা। যেমন নারায়ণ পুজোয় লাগে তুলসী পাতা, আবার শিবপুজোয় বেলপাতা। বেলপাতা বিষ্ণুকে দেওয়া হয় না। আবার তুলসী পাতা শিবকে অর্পণ করা যায় না। পুজোর নিয়ম জেনে রাখা দরকার কারণ এতে ঘরের নেতিবাচক ও ইতিবাচক শক্তিতে প্রভাব পড়ে। তাই প্রিয় দেব বা দেবীকে তাঁর পছন্দ অনুযায়ী ফুল-ফল অর্পণ করেন ভক্তরা। কিন্তু কোন ফুল অর্পণ করা যায় না? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
দেবদেবীরা বিশেষ ফুলে সন্তুষ্ট হন। তবে সব ফুল পছন্দ করেন না তাঁরা। তাই চাইলেই যা ইচ্ছা ফুল দেবদেবীর চরণে দেওয়া যায় না। তাই জেনে নেওয়া দরকার তাঁদের পছন্দ ও অপছন্দ-
শ্রী রামের পুজো- শ্রী রাম হলেন বিষ্ণুর মানব অবতার। তাঁর পুজোয় কখনও কলকে ফুল ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি অশুভ। তাই কলকে ফুল ছাড়া যে কোনও ফুলে তুষ্ট করুন শ্রী রামকে। নইলে পরিবারে অশান্তি ঘিরে ধরবে।
দেবী দুর্গার পুজো- দেবী দুর্গা শিবজায়া। কিন্তু ভুলেও শিবের পছন্দের আকন্দ ফুল দিয়ে তাঁকে পুজো করবেন না। দেবীর শাপে সর্বস্ব হারাবেন। আকন্দ ফুল অপছন্দ পার্বতীর। তিনি অসন্তুষ্ট হলে হওয়া কাজও ভেস্তে যেতে পারে।
নারায়ণ পুজো- পছন্দ ও অপছন্দের ব্য়াপারে অত্যন্ত সচেতন নারায়ণ। তাঁর পুজোয় ঝক্কিও কম নয়। তিনি অসন্তুষ্ট হলে বিপদ আসতে বেশি সময় লাগে না! নারায়ণ পুজোয় তাই সকলেই অতিরিক্ত মনোযোগ রাখেন। নারায়ণের পুজোয় বকফুল, মাধবী ফুল, আকন্দ, বেলপাতা ব্যবহার করা উচিত নয়। হরির পুজোয় ভুল হলে দারিদ্র্য ঘিরে ধরবে।
আরও পড়ুন- ১৭ জুন থেকে শনির দয়ায় ৪ রাশি, সব বাধা কাটিয়ে ভাগ্য ফেরাবেন বড়বাবা
শিবের পুজো- ভুল করেও শিবের পুজোয় কেয়া ফুল ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি করা অশুভ বলে মনে করা হয়। এতে করে ভোলেনাথ অসন্তুষ্ট হন। জীবনে নেমে আসে অশান্তি।