scorecardresearch
 

Bengali Festival: কথায় বলে বারো মাসে তেরো পার্বণ, সব পার্বণের নাম জানা আছে তো?

Bengali Festival: বাঙালির ঘরে ঘরে, বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। আর এই পার্বণ বা উত্‍সব মানেই নতুন আনন্দে গা ভাসিয়ে দেওয়া। কথাতেই আছে বারো মাসে তেরো পার্বণ। আসলে এই উৎসব বা পার্বণেই তো মানুষ মানুষের কাছে আসে। একসঙ্গে হয়ে আনন্দ করে। তাই বলা চলে এই উৎসব বা পার্বণ শুধুমাত্র একটা অজুহাত হিসাবেই কাজ করে।

Advertisement
বারো মাসে তেরো পার্বণের নাম জানা আছে? বারো মাসে তেরো পার্বণের নাম জানা আছে?
হাইলাইটস
  • বাঙালির ঘরে ঘরে, বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। আর এই পার্বণ বা উত্‍সব মানেই নতুন আনন্দে গা ভাসিয়ে দেওয়া। কথাতেই আছে বারো মাসে তেরো পার্বণ। আসলে এই উৎসব বা পার্বণেই তো মানুষ মানুষের কাছে আসে।

বাঙালির ঘরে ঘরে, বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। আর এই পার্বণ বা  উত্‍সব মানেই নতুন আনন্দে গা ভাসিয়ে দেওয়া। কথাতেই আছে বারো মাসে তেরো পার্বণ। আসলে এই উৎসব বা পার্বণেই তো মানুষ মানুষের কাছে আসে। একসঙ্গে হয়ে আনন্দ করে। তাই বলা চলে এই উৎসব বা পার্বণ শুধুমাত্র একটা অজুহাত হিসাবেই কাজ করে। তবে অনেকে এই বারো মাসে তেরো পার্বণের উৎসব আসলে কী কী হয়ে থাকে সে বিষয়ে অবগত নন। আসুন জেনে নিই এই বারো মাসে তেরো পার্বণে কোন কোন উৎসব পড়ছে। 

বাংলা নবর্বষ
বারো মাসে তেরো পার্বণ প্রথম মাসের বৈশাখের ১ তারিখে বাংলা নবর্বষ পালন করা হয়।।বাংলা নবর্বষ বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম সামাজিক উৎসব । সকল বাঙলীর কাছেই এটাই  প্রিয় এ ঐতিহ্যবাহী উৎসব। পহেলা বৈশাখে বাঙালীরা বহুযুগ ধরে বর্ণাঢ্য আচার আনুষ্ঠানিকতায় বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন করে থাকে। ঐতিহ্যমন্ডিত খাবার গ্রামে-গঞ্জে-নগরে লোকজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধূলা, শোভাযাত্রা ইত্যাদিতে বর্ষবরণ ‍উৎসব ভরপুর থাকে ।। পয়লা বৈশাখ ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শুভ হালখাতা’র আয়োজন করেন তাঁরা। ভোক্তা এবং মিষ্টিমুখ করানো শুভ হালখাতার গ্রাহকদের উপহার দেওয়া অন্যতম লোকাচার। এ উপলক্ষে হিসেবের নতুন খাতা খোলেন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়।

জামাই ষষ্ঠী
জৈষ্ঠ্য মাসে অর্থাৎজামাই ষষ্ঠী পালন করা হয়। জামাইকে ডেকে এনে সমাদার করা ও কন্যা যাতে সন্তানবতী হয় সেই লক্ষ্যে মা ষষ্ঠীকে জুরে দিয়ে উৎসবের নাম হয় জামাই ষষ্ঠী। জামাই ষষ্ঠী বাঙালীর কাছে কার্যত উৎসব।

আরও পড়ুন

রথযাত্রা
প্রধান ধর্মীয় হিন্দুদের রথযাত্রা অন্যতম উৎসব। অর্থাৎ রথটি প্রথম দিন যেখান থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, আটদিন পরে আবার সেখানেই এনে রাখা হয়। এই অনুষ্ঠান হয় আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে, একাদশী তিথিতে হয় প্রত্যাবর্তন বা উল্টো রথ। রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়। কথিত আছে মথুরা ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন জগন্নাথ। সেকারণে তৈরি করা হয়েছিল রথ। কিন্তু ভক্তরা যখন সেই রথ টানতে শুরু করেন, তখন কিছুতেই নড়েনি রথের চাকা। শেষে রাজা এসে যখন রথের রশিতে টান দেন তখন রথ চলতে শুরু করে। এভাবেই শুরু হয়েছিল পুরীর রথযাত্রা।

Advertisement

শিবের পুজো
গোটা শ্রাবণ মাস ধরেই শিবের ব্রত পালন করলে৷ জীবনে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হয়, সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়, অর্থনৈতিক প্রতিকূলতামুক্ত জীবন হয়ে ওঠে সুন্দর ৷ এক কথায় জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে  শিবের ব্রত পালনের মাধ্যমে।

মনসা পুজো
গ্রাম বাংলায় মাটির মুর্তি গড়ে বা থানে মনসা পুজো হয়। সর্পদংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে, সর্পদংশনের প্রতিকার পেতে, প্রজনন ও ঐশ্বর্যলাভের উদ্দেশ্যে তার পুজো করা হয়। মনসা ঘট স্থাপন করে পুজো করা হয়।

জন্মাষ্টমী
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনটি আজও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। 

দুর্গাপূজা
বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পুজো। যা বারো মাসের তেরো পার্বণের অন্যতম বড় উৎসব। একে শারদোৎসবও বলা হয়ে থাকে। গোটা দেশজুড়েই পালন করা হয় এই উৎসব। 

কালীপুজো
কালী হচ্ছেন দশমহাবিদ্যার প্রথম মহাবিদ্যা। পুরাণ ও তন্ত্রে বহু তথ্য অনুযায়ী দেবাসুরের যুদ্ধে পরাজিত করতে দেবগণের স্তুতিতে আদ্যাশক্তি ভগবতীর দেহকোষ থেকে দেবী কৌষিকী আবির্ভূত হন। তখন ভগবতীদেবী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন বলে তাঁর নাম হয় কালী বা কালিকা। তিনি শুম্ভ-নিশুম্ভ নামে দুই দানবকে বধ করেছিলেন। 

ভাইফোঁটা
পশ্চিম ভারতে এই উৎসব ‘ভাইদুজ’ নামেও পরিচিত। বিজয়া দশমীর পর এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসবের আরও একটি নাম হল ‘যমদ্বিতীয়া’। ভাই-বোনের ভালবাসার বন্ধন অনন্তকাল অটুট রাখার জন্য বংশপরম্পরায় এই বিশেষ উৎসব পালিত হয়। 

অঘ্রানে নবান্ন 
নবান্ন শস্যভিত্তিক একটি লোকউৎসব। অঘ্রান মাসে যখন নতুন ধান ওঠে তখন এই উৎসব পালিত হয়। অধিক শস্যপ্রাপ্তি, বৃষ্টি, সন্তান ও পশুসম্পদ কামনা এ উৎসব প্রচলনের প্রধান কারণ। 

পিঠেপুলি উৎসব
পৌষ মাসে বাঙালিরা যে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পিঠেপুলি উৎসব বা বাউনি। নতুন গুড় ও চাল দিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু নানারকম পিঠেপুলি। 

সরস্বতী
প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতশুভ্র কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবীর বন্দনা করা হয়। ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সরস্বতী দেবীর আরাধনা করা হয়। সরস্বতী দেবী শ্বেতশুভ্র বসনা। দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা। এজন্য তাকে বীণাপানিও বলা হয়। 

ফাল্গুন মাসে দোলযাত্রা
বসন্তকাল মানেই হল তো দোলযাত্রা। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। 


 

Advertisement