সনাতম ধর্মে তুলসী গাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। লোকবিশ্বাস, তুলসী গাছে দেবী লক্ষ্মী বাস করেন। আর নিয়মিত তুলসী গাছের পুজো করলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বাস্তুশাস্ত্রেও তুলসী গাছের বিষয়ে কিছু নিয়মের কথা বলা হয়েছে। এই নিয়মগুলো মেনে চললে জীবনে টাকার অভাব হয় না। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বিষ্ণুর কাছে তুলসী খুবই প্রিয়। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তুলসী পূজা করলে সম্পদের দেবী ও বিষ্ণুর কৃপা মেলে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে,তুলসী সংক্রান্ত এই সমস্ত প্রতিকার করলে শুভ ফল পাওয়া যাবে।
তুলসী গাছ ঘরে থাকলে অভাব-অনটন থাকে না। মেলে মা লক্ষ্মীর আশিস। তবে তুলসী গাছ ঠিকমতো রাখতে হয়। তার কিছু নিয়ম আছে। বাস্তুশাস্ত্রেও তুলসীর বিবিধ প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে। এই উপায়গুলি প্রয়োগ করলে ভাগ্যের বদল ঘটে। তুলসী গাছে বেঁধে দিন একটি লাল সুতো। যে সুতো পুজোআচ্ছার পর হাতে বাঁধা হয়। তেমনই লাল সুতো। এই লাল সুতো অত্যন্ত পবিত্র। লাল সুতো তুলসী গাছে বাঁধলে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা মেলে। সেই ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। সনাতন ধর্মে, বিপদ-আপদ থেকে বাঁচাতে হাতে লাল সুতো বেঁধে দেওয়া হয়। এটি সৌভাগ্য আনে।
তুলসী গাছে দুধ
বাস্তুশাস্ত্রে তুলসী গাছের আরও একটি প্রতিকার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারকে শ্রীবিষ্ণুর দিন হিসেবে ধরা হয়। এই দিনে তুলসী গাছে সামান্য কাঁচা দুধ নিবেদন করলে মা তুলসী খুশি হন। মেলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদও। এই প্রতিকারে কোষ্ঠীতে বৃহস্পতি গ্রহ শক্তিশালী হয়।
নিয়মিত জল অর্পণ
বাস্তুশাস্ত্রে তুলসীর নিয়মিত পুজার কথা বলা হয়েছে। মহিলারা সকালে স্নান করে নিয়মিত জল অর্পণ করুন। এর ফলে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। তবে মনে রাখবেন একাদশী ও রবিবারে তুলসী গাছে জল দেবেন না। লোকবিশ্বাস, তুলসী এই দুই দিনেই নির্জল উপবাস করেন। ফলে জল নিবেদন করলে উপবাস ভেঙে যায়।
আরও পড়ুন- এই ৫ অভ্যাস কাঙাল করে দেয়, লক্ষ্মীর কৃপা পেতে গরুড় পুরাণ যা বলছে...