ঘরের দেওয়া এই ছবিগুলি লাগালে হু হু করে অর্থ আসবে, ঘুচবে অভাবVastu Tips for Money: বাস্তুশাস্ত্রে ঘরবাড়ির দিকনির্দেশ ও বস্তুস্থাপনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনেকের বিশ্বাস, বাড়ির নির্দিষ্ট অংশে কিছু জিনিস সঠিকভাবে রাখলে সংসারে সমৃদ্ধির পথ খুলে যায়। শুধু বাড়ি নির্মাণে বাস্তু মানলেই নয়, ঘরের সাধারণ কিছু অভ্যাস বদলালেও নাকি সৌভাগ্য বাড়ে। এমনটাই মত বাস্তুশাস্ত্রবিদদের। বহু ধনী মানুষ নাকি নিয়মিত এই টোটকা মেনে চলেন বলেও শোনা যায়।
বাস্তু মতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক অত্যন্ত পবিত্র। বিশ্বাস করা হয়, দেবদেবীরা এই অংশেই অধিষ্ঠান করেন। তাই বাড়ির মন্দির রাখার আদর্শ স্থান উত্তর-পূর্ব কোণ। এই দিকটি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভারী আসবাব বা বাড়তি জঞ্জাল রাখলে নাকি ইতিবাচক শক্তির প্রবাহে বাধা তৈরি হয়।
বাস্তুতে সম্পদের দেবতা কুবেরের অবস্থান ধরা হয় উত্তর দিকে। তাই অনেকে পরামর্শ দেন, ঘরের উত্তর কোণে লকার বা অর্থ রাখার জায়গা রাখলে আর্থিক স্থিতি শক্তিশালী হয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, কুবেরের কৃপায় ঘরে টাকার প্রবাহ বজায় থাকে এবং সঞ্চয়ও নাকি বাড়ে।
বাড়ির উত্তর দিকে মানিপ্ল্যান্ট বা ক্র্যাসুলার মতো গাছ রাখাও শুভ মনে করা হয়। বাস্তুশাস্ত্রের ধারণা, এই সব গাছ ঘরে ধনাগমন টানে। পরিবারের সদস্যদের কর্মজীবন বা ব্যবসার ক্ষেত্রেও নাকি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
অনেকে বলেন, উত্তর দিকে রান্নাঘর থাকলে ঘরে খাদ্যের অভাব হয় না। পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা ও মানসিক ইতিবাচকতার উপরও নাকি এর প্রভাব পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এ ভাবনাই প্রচলিত।
উত্তর দিকে দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান কুবেরের ছবি রেখে নিয়মিত পূজা করার কথাও বলা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। সন্ধ্যায় সেই দিকে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে নাকি ঘরোয়া সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। বিশ্বাস অনুযায়ী, এই উপায়ে আর্থিক অস্থিরতা দূরে থাকে।