ঘরের এই দিকে একটি জিনিস রাখুন, লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সব কাজ সফল হবে

বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সঠিক স্থানে কিছু জিনিস রাখলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের উপর প্রভাব পড়ে। এটি মনে শান্তি, সম্পর্কের মাধুর্য আনে এবং পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করে।

Advertisement
ঘরের এই দিকে একটি জিনিস রাখুন, লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সব কাজ সফল হবেঘরের এই দিকে একটি জিনিস রাখুন, লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সব কাজ সফল হবে
হাইলাইটস
  • শঙ্খ সমুদ্রের একটি পবিত্র উপহার এবং এটি লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়
  • স্বস্তিকা শুভ, সাফল্য এবং সৌভাগ্যের প্রতীক

বাস্তুশাস্ত্র কেবল বাড়ির দিকনির্দেশনা নির্ধারণের একটি পদ্ধতি নয়; এটি জীবনে শান্তি, ইতিবাচকতা, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা আনার জন্য একটি সহজ এবং প্রাচীন পদ্ধতি হিসাবে বিবেচিত হয়। ভারতে, মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাস্তুর নীতিগুলি অনুসরণ করে আসছে কারণ এটি প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সঠিক স্থানে কিছু জিনিস রাখলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের উপর প্রভাব পড়ে। এটি মনে শান্তি, সম্পর্কের মাধুর্য আনে এবং পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করে। বাস্তু অনুসারে, বাড়িতে পাঁচটি জিনিস রাখা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই জিনিসগুলি কী।

১. তুলসী গাছ: তুলসীকে দেবী তুলসীর একটি রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাড়ির উঠোনে বা উত্তর-পূর্ব দিকে এটি লাগালে পরিবেশে পবিত্রতা এবং ইতিবাচক শক্তি আসে। বলা হয় যে যেখানে তুলসী গাছ নিয়মিত পূজা করা হয়, সেখানে পরিবারে প্রেম, সম্প্রীতি এবং মানসিক শান্তি বিরাজ করে।

২. জলে ভরা পাত্র: একটি পাত্রকে সমৃদ্ধি এবং পবিত্রতার প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাড়ির উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে জলে ভরা পাত্র রাখলে জল উপাদানের ভারসাম্য বজায় থাকে। এটি মানসিক স্বচ্ছতা, সাফল্য এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে। অনেকে কলশে চন্দন, লবঙ্গ বা ফুলও রাখেন, যা ইতিবাচক শক্তি আরও বৃদ্ধি করে।

৩. শঙ্খ: শঙ্খ সমুদ্রের একটি পবিত্র উপহার এবং এটি লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। উপাসনাস্থলে শঙ্খ স্থাপন করা বা বাজানো অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। শঙ্খের শব্দ বায়ুমণ্ডলকে পবিত্র করে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করে। এটি বাড়িতে একটি শান্তিপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করে।

৪. স্বস্তিকা প্রতীক: স্বস্তিকা শুভ, সাফল্য এবং সৌভাগ্যের প্রতীক। এটি প্রধান প্রবেশদ্বার বা উপাসনাস্থলে স্থাপন করলে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। স্বস্তিকা নতুন সূচনা এবং অব্যাহত অগ্রগতিরও প্রতীক।

Advertisement

৫. পিতল বা তামার ঘণ্টা: পিতল এবং তামাকে সবচেয়ে শক্তিশালী ধাতু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাড়ির মন্দিরে পিতলের ঘণ্টা স্থাপন করা এবং প্রার্থনার সময় এটি বাজানো অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়; এটি ইতিবাচক শক্তি সক্রিয় করে এবং নেতিবাচকতা দূর করে।

POST A COMMENT
Advertisement