হিন্দু ধর্মে ময়ূরের পালক (Peacock Feather) খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের ধারণা থাকে এটি শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে যুক্ত। আসলে এটি দেবী সরস্বতী, মা লক্ষ্মী, দেবরাজ ইন্দ্র, কার্তিক ও গণেশ ঠাকুরের সঙ্গেও সম্পর্কিত। সেজন্যই সনাতন ধর্মে ময়ূরের পালকের মাহাত্ম্য অনেক এবং এটিকে শুভ মনে করা হয়।
অনেকে ময়ূরের পালক ঘর সাজাতে ব্যবহার করেন। কেউ আবার শুভ বলে নিজেদের বইয়ের মধ্যে রাখেন। জানেন কি, এছাড়াও অন্য একটু খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণে এটি বাড়িতে রাখা ভাল? আসলে ময়ূরের পালক যে কোনও বাস্তু দোষ কাটাতে সাহায্য করে।
বাস্তু দোষ কাটাতে
পুরাণ অনুযায়ী, আটটি ময়ূরের পালক নিয়ে একসঙ্গে নীচের দিকে সাদা সুতো নিয়ে বেঁধে নিন। এবার 'ওম সোমায় নমঃ' মন্ত্র জপ করুন। এর ফলে আপনার বাড়ির বাস্তু দোষ কেটে যাবে।
অপবিত্রতা দূর করতে
তিনটি ময়ূরের পালক একটি কালো সুতোয় বাঁধুন। একবার একটা সুপারি নিয়ে ২১ বার 'ওম শনৈস্কারায়া নমঃ' মন্ত্রোচ্চারণ করে জল ছিটিয়ে দিন। এর ফল আপনার শনির দোষ কাটবে।
অর্থ সংকট দূর করতে
আপনার লকারের পাশে ময়ূরের পালক রাখলে, অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
বাড়িতে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে
ময়ূরকে সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক রূপে ধরা হয়। ড্রয়িং রুমে ময়ূরের একটি পেইন্টিং রাখুন। এর ফলে বাড়িতে সর্বদা আনন্দ ও সুখ বিরাজ করবে।
নেগেটিভি দূরে রাখতে
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে কোনও নেগেটিভ এনার্জি প্রবেশ করতে পারে না, যদি প্রবেশদ্বারে ময়ূরের পালক রাখা হয়। সেই সঙ্গে বাড়ির বাস্তু দোষও কাটে।
স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য
পুরাকালে শরীরের বিভিন্ন রোগ কাটাতে ময়ূরের পালক ব্যবহার করা হত। সেজন্যে বিশ্বাস করা হয়, এটি এখনও বাড়িতে রাখলে কোনও ব্যাধি দূরে থাকে।
মনোযোগ বৃদ্ধি
পুরাণ মতে, বইয়ের মধ্য ময়ূরের পালক রাখলে, এটি ছাত্র- ছাত্রীদের মনোযোগ নিবেশ করতে সাহায্য করে।
ভালবাসা বৃদ্ধি
বেডরুমে ময়ূরের পালক রাখুন। মনের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে। একে অপরের প্রতি টান ও ভালবাসা বাড়বে।