বাস্তু সংক্রান্ত নানা সমস্যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যহত করতে পারে। তাই সেদিকে সবসময়ই খেয়াল রাখা জরুরী। বেডরুমের প্রায়শই অনেকে সাত ধরনের ভুল করে থাকেন। যার ফলে দাম্পত্যের পাশাপাশি কেরিয়ারেও নানা সমস্যা দেখা দেয়। পিছু ছাড়ে না সেগুলি। দেখে নিন এই সমস্যাগুলির মোকাবিলা করার জন্য কী বলছে ফেং শুই।
বিছানায় জঞ্জাল
অনেকেই বিছানা জুড়ে নানা অপ্রয়োজনীয় জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন। আবার অনেকে বিছানার নিচেও নানা জিনিসপত্র রেখে দেন। এর ফলে শক্তির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা আপনার ঘুম এবং মানসিক স্থিতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই স্থানের জঞ্জাল অবচেতন মনে অসম্পূর্ণ কাজ বা উদ্বেগের প্রতীক।
বিছানার দিকে মুখ করে আয়না রাখা
বেডরুমে আয়না ব্যবহার করা গেলেও, সেটি যেন সরাসরি বিছানার দিকে মুখ করে না থাকে। ফেং শুই অনুযায়ী, আয়না শক্তিকে প্রতিফলিত করে এবং এটি ঘুমানোর সময় অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে বা সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষের প্রভাব আসতে পারে বলে মনে করা হয়।
কফিন পজিশনে বিছানা রাখা
বিছানাকে এমনভাবে রাখা উচিত নয় যাতে আপনার পা সরাসরি দরজার দিকে মুখ করে থাকে। ফেং শুই-এ এটিকে 'কফিন পজিশন' বলা হয় এবং এটি খারাপ শক্তি ও দুর্বল স্বাস্থ্যের প্রতীক। বিছানা সবসময় এমনভাবে রাখা উচিত যাতে আপনি বিছানায় শুয়ে দরজা দেখতে পান, কিন্তু দরজার সঙ্গে এক সরলরেখায় না থাকে।
অতিরিক্ত উজ্জ্বল রং ব্যবহার
বেডরুমের জন্য সবসময় হালকা রং ব্যবহার করা উচিত। যেমন - হালকা নীল, সবুজ, ক্রিম, বেইজ। অনেকে আবার গাঢ় লাল, কমলা বা নিওন জাতীয় রংগুলি ব্যবহার করেন। এর ফলে ঘুম ও শান্তিকে বিঘ্নিত করে। এগুলি শক্তির মাত্রাকে খুব বেশি বাড়িয়ে দেয়।
বেডরুমে জিমের সরঞ্জাম
বেডরুমে জিমের সরঞ্জাম রাখা একেবারেই উচিত নয়। কাজের টেবিল, ফাইল বা জিমের সরঞ্জাম রাখা উচিত নয়। কারণ এটি ঘুমের পরিবেশে 'ইয়াং' (কর্মক্ষম) শক্তি নিয়ে আসে, যা বিশ্রাম এবং অন্তরঙ্গতার জন্য শান্ত পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। কাজ ও বিশ্রামকে আলাদা রাখুন।
বেডরুমে অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক্স জিনিস রাখা
টেলিভিশন, কম্পিউটার বা এমনকি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন বেডরুম থেকে সরিয়ে ফেলুন। এই ডিভাইসগুলি থেকে নির্গত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড এবং এদের উজ্জ্বল আলো বিশ্রামের শক্তিকে ব্যাহত করে, ফলে ঘুমের মান খারাপ হয়। বেডরুমকে ঘুম ও বিশ্রামের জন্য পবিত্র স্থান হিসেবে ব্যবহার করুন।