সনাতম ধর্মে ভগবান শিবের আরাধনায় বেলপাতার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শিবলিঙ্গে অভিষেকের সময় অর্পণ করা হয় বেলপাতা। সোমবার স্নান করে শিবের জলাভিষেক করে তাঁকে বেলপত্র অর্পণ করলে তিনি সন্তুষ্ট হন। ভক্তদের সমস্ত দুঃখ দূর করেন। বাস্তুশাস্ত্রেও বেলপাতার গাছ লাগানোর কথা বলা হয়েছে। বাড়ির সঠিক দিকে বেলপাতার গাছ লাগালে বিবিধ সমস্যার সমাধান হয়। শিবপুরাণে বলা হয়েছে,যে বাড়িতে বেলপাতার গাছ আছে,তা তীর্থস্থানের চেয়ে কম নয়।
দারিদ্র্য দূর করতে শিবকে অর্পণ
শিবপুরাণে বলা হয়েছে, সোমবার পুজার সময় ভগবান শিবকে বেলপাতা নিবেদন করলে তিনি সন্তুষ্ট হন। শাস্ত্র মতে শিবলিঙ্গে বেলপত্র অর্পণ করলে এক কোটি কন্যাদানের সমান পুণ্য লাভ হয়। শুধু তাই নয় মানুষের দারিদ্র্য দূর করে। বেলপত্র নিবেদন করলে শিব ও হনুমান উভয়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বাড়িতে বেলপাতার গাছ লাগালে পরিবার নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত হয়।
বেলপাতা বাসি হয় না
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বেলপাতার পাতা কখনও বাসি হয় না। সেক্ষেত্রে বেলপাতা না থাকলে অন্যের দেওয়া বেলপাতা ধুয়ে পুজোয় ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাড়ির কোন দিকে লাগাবেন গাছ
দীর্ঘদিন ধরে দারিদ্র্যের মধ্যে থাকলে বাড়িতে একটি বেলপাতার গাছ লাগান। এতে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। শুধু তাই নয়, যেখানে টাকা রাখা থাকে সেখানে বেলপাতার পাতা রাখলে উপকার পাওয়া যাবে। এতে ঘরে সুখ আসে। উত্তর-দক্ষিণ দিকে লাগান গাছের চারা লাগান।
বেলপাতা গাছে আসে ইতিবাচক শক্তি
শিবপুরাণ অনুসারে, গিরিজা মাতা বেলপত্র গাছের শিকড়ে বাস করেন। যেখানে কাণ্ডে মহেশ্বর, শাখায় মাতা দক্ষিণী, পাতায় পার্বতী, ফুলে গৌরী এবং ফলের মধ্যে দেবী কাত্যায়নী থাকেন বলে বিশ্বাস করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে বেলপাতার গাছ রাখলে সদস্যরা ইতিবাচক এবং আত্মবিশ্বাসী হন।
অশুভ শক্তি দূর করে
বাস্তু মতে এই গাছটি বাড়ির সামনে লাগালে অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করে না। পরিবারের সদস্যদের নেতিবাচক শক্তি থেকে দূরে। ইতিবাচক শক্তি প্রেরণ করে। এমনও বলা হয়, বাড়ির ভিতরে বেলপাতার গাছ লাগালে চন্দ্র দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় ব্যক্তির কোষ্ঠীতে থাকা বাধাবিঘ্নও কেটে যায়।
কবে কবে বেলপাতা ছিঁড়বেন না
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, চতুর্থী, অষ্টমী, নবমী, চতুর্দশী এবং অমাবস্যা তিথিতে বেলপাতা ছেঁড়া উচিত নয়। এর পাশাপাশি, সংক্রান্তির সময় এবং সোমবার বেলপাতা ছিঁড়বেন না। বেলপাতার পাতা আলাদা করে ভাঙবেন না। তিনটি পাতা-সহ ডাঁটি শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন।
আরও পড়ুন- সাড়ে সাতি মানেই দুর্ভোগ, ২০৫০ পর্যন্ত কখন কখন শনির রোষে কোন রাশি