Vastu Tips Home: ঘরের ৫টি এই ছোট জিনিস, আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ করতে পারে

পরিবারের শান্তি রক্ষায় কাঁচিকেও মনে করা হয় গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কাঁচি সবসময় কাপড় বা কাগজে মুড়ে রেখে রাখা উচিত, তা না হলে দাম্পত্যে বা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা বাড়তে পারে।

Advertisement
ঘরের ৫টি এই ছোট জিনিস, আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ করতে পারেঘরের ৫টি এই ছোট জিনিস, আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ করতে পারে

Vastu Tips Home: সংসারের আর্থিক পরিস্থিতি কিংবা মানসিক শান্তি। সবটাই নির্ভর করে ঘরের পরিবেশের উপর। ঘর যদি থাকে পরিপাটি, পরিচ্ছন্ন আর কিছু নির্দিষ্ট জিনিস যদি থাকে নিয়ম মেনে রাখা, তবে নেমে আসতে পারে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। আবার ছোটখাটো ভুল থেকেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। ফেংশুই কিংবা বাস্তুশাস্ত্র, সব ক্ষেত্রেই ঘরের কিছু নির্দিষ্ট উপাদানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ঝাঁটা
ঝাঁটা কখনও ভাঙা অবস্থায় ঘরে রাখা উচিত নয়। গাছের সঙ্গে বাঁধা বা প্রকাশ্যে ফেলে রাখা ঝাঁটা ঘরে আর্থিক দুর্দশা ডেকে আনতে পারে। ঝাঁটা এমন জায়গায় রাখা উচিত, যেখানে সহজে চোখে পড়ে না। সূর্যাস্তের পর ঘর ঝাঁট দেওয়া একেবারেই বারণ। এমন বিশ্বাস বহু পুরনো।

কাঁচি
ঠিক তেমনই, পরিবারের শান্তি রক্ষায় কাঁচিকেও মনে করা হয় গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কাঁচি সবসময় কাপড় বা কাগজে মুড়ে রেখে রাখা উচিত, তা না হলে দাম্পত্যে বা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা বাড়তে পারে। অকারণে কাঁচি ব্যবহার করাও অশুভ বলেই ধরা হয়। কারও সঙ্গে কাঁচি আদান-প্রদান করাও সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হয়।

ছুরি
ছুরির ক্ষেত্রেও আছে একাধিক সতর্কতা। রান্নাঘরে ছুরি সবসময় উল্টো করে রাখা উচিত, যাতে ধারাল দিকটি নীচের দিকে থাকে। এতে সন্তানের মঙ্গল হয় বলে বিশ্বাস। জং ধরা বা ধার না থাকা ছুরি বাড়িতে থাকলে হঠাৎ করে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। আবার অত্যন্ত বড় বা বিশাল ছুরি ঘরে রাখলে দাম্পত্য অশান্তি তৈরি হতে পারে বলেই অনেকে বলেন। কেউ যদি ছুরি দেওয়ার সময় ধারাল দিকটি আপনার দিকে ঘুরিয়ে দেন, তাহলে ধরে নিতে পারেন তিনি আত্মকেন্দ্রিক মানুষ।

পাপোশ
ঘরের বাইরে রাখা ছোটখাটো জিনিস যেমন পাপোশ। সেটিও সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ছেঁড়া, নোংরা বা অপরিষ্কার পাপোশে নেমে আসতে পারে অশুভ শক্তি। সকালবেলায় পাপোশ পরিষ্কার করে দরজার সামনে রাখা এবং ঈশ্বরের আগমনের প্রার্থনা করা শুভ বলেই ধরা হয়। তবে পাপোশে কখনও যেন শঙ্খ বা স্বস্তিক চিহ্ন না থাকে। এমন হলে ঘরে প্রবেশ করতে পারে সমস্যা।

Advertisement

রান্নাঘর
শেষে থাকছে রান্নাঘরের কথা। বাসনপত্র যেন সবসময় গুছিয়ে রাখা হয়। অগোছালো বা এঁঠো বাসন থেকে জীবনে আসে প্রতিকূলতা এবং শারীরিক অসুস্থতাও হতে পারে। নতুন বাসন কেনার পর তাতে আগে দুধ ফুটিয়ে নেওয়ার রীতি আজও চলে আসছে অনেক পরিবারে। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, শনিবার কখনও বাসন কেনা উচিত নয়, বিশেষ করে যাঁদের উপর শনির প্রভাব বেশি, তাঁদের বাসন দান করাও এড়িয়ে চলা উচিত।

এই ছোট ছোট বিষয়গুলিতে নজর রাখলেই সংসারে আসতে পারে স্থিতি, শান্তি এবং সমৃদ্ধি। জীবনের বড় সমস্যার সমাধান কখনও লুকিয়ে থাকে এমনই ছোটখাটো অভ্যেসে। তাই সাবধান হোন আজই।

 

POST A COMMENT
Advertisement