বাস্তু টিপসকথায় বলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেলে বাড়িতে কখনও টাকা পয়সার অভাব হয় না। ঘর সবসময় থাকে সমৃদ্ধ। কিন্তু যদি দেবী লক্ষ্মী তাঁর দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন, তবে কোনও ধনী ব্যক্তিও নিঃস্ব হয়ে যেতে পারেন। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে কিছু শুভ জিনিস রাখলে দেবী লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। তাঁর ভক্তদের উপর খুশি হয়ে আশীর্বাদ করেন। তাই, প্রতিটি বাড়িতেই এই শুভ জিনিসগুলির একটি অন্তত রাখা উচিত।
স্বস্তিক চিহ্ন:
বাস্তুশাস্ত্রে, স্বস্তিক চিহ্নকে অত্যন্ত শুভ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাড়ির প্রধান গেট বা মন্দিরে এটি বসালে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। বাস্তু অনুসারে, বাড়ির উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে স্বস্তিক চিহ্ন বসালে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
পিতল বা তামার ঘণ্টা:
বাড়ির মন্দিরে তামার ঘণ্টা রেখে সকাল ও সন্ধ্যার পুজোর সময় এটা বাজানো খুবই উপকারী। বাস্তু অনুসারে, ঘণ্টাটি সবসময় সিংহাসনের উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে বসানো উচিত। এতে দেব-দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
শঙ্খ:
শঙ্খ বাড়িতে রাখলে সৌভাগ্য ও শান্তি আসে। বাস্তু শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সিংহাসনের উত্তর-পূর্ব কোণে শঙ্খ রাখা উচিত। এরফলে বাড়িতে সম্পত্তি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, ভগবান বিষ্ণু বা লক্ষ্মীর মূর্তির ডানদিকে রাখাও শুভ বলে বিবেচিত হয়।
জলপাত্র:
হিন্দু ধর্মে তামার জলপাত্রের পুজো করা হয়। তামার জলপাত্রকে সমৃদ্ধি এবং মঙ্গলের প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়। বাড়ির উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে জলপাত্র রাখলে সংসারে ভারসাম্য বজায় থাকে। এটি মানসিক এবং আর্থিক দিক থেকেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।
তুলসী গাছ:
বাস্তু অনুসারে, দেবী লক্ষ্মী তুলসীতে বাস করেন। তুলসী গাছ বাড়ির নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং পজিটিভ বার্তা নিয়ে আসে। বাস্তু অনুসারে, বাড়ির উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে তুলসী গাছ লাগানো অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়।