Kojagari Lakkhi Puja: 'কোজাগরী' শব্দের অর্থ কী? জানুন এই লক্ষ্মীপুজোর মাহাত্ম্য

Kojagari Lakkhi Puja: দুর্গাপুজো শেষ হতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড় শুরু। বাড়িতে এই পুজো হয় না, এমন বাঙালি কমই। ফলে কোজাগরী পূর্ণিমার সকাল থেকেই ঘরে ঘরে শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। বিভিন্ন ফল, ফুল, মিষ্টিতে সাজানো হয় পুজোর থালা।

Advertisement
'কোজাগরী' শব্দের অর্থ কী? জানুন এই লক্ষ্মীপুজোর মাহাত্ম্য কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো
হাইলাইটস
  • দুর্গাপুজো শেষ হতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড় শুরু।

দুর্গাপুজো শেষ হতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড় শুরু। বাড়িতে এই পুজো হয় না, এমন বাঙালি কমই। ফলে কোজাগরী পূর্ণিমার সকাল থেকেই ঘরে ঘরে শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। বিভিন্ন ফল, ফুল, মিষ্টিতে সাজানো হয় পুজোর থালা। দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় বাঙালির এই লক্ষ্মীপুজো । হিন্দুধর্ম মতে, লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পত্তি ও সৌভাগ্যের দেবী। তাই ঘরে ঘরে ধনসম্পদের আশায় এ দিন লক্ষ্মীর আরাধনা করে বাঙালি। শুধুমাত্র বাড়ির মহিলারাই নন, নারী পুরুষ নির্বিশেষেই আয়োজনে মাতেন। বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলে প্রস্তুতি।

কোজাগরী শব্দের অর্থ
বাংলায় এই কোজাগরী শব্দের উৎপত্তি ‘কো জাগতি’ থেকে। এর আক্ষরিক অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ 

কেন রাতে হয় এই পুজো
হিন্দু শাস্ত্রে কথিত, ধনসম্পত্তি ও সমৃদ্ধির দেবী মা লক্ষ্মী আশ্বিনের শেষ পূর্ণিমায় স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আশীর্বাদ করেন তিনি। কিন্তু যার বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, তার ঘরে প্রবেশ করেন না লক্ষ্মী। ফিরে আসেন সেখান থেকে। তাই লক্ষ্মীপুজোর রাত জেগে কাটানোর রীতি চলে আসছে বহু যুগ ধরে। তা ছাড়া পুজো হয় সন্ধ্যায়। মনে করা হয়, যে ভক্ত রাত জেগে আরাধনা করেন, তাঁকে দুই হাত ভরে আশীর্বাদ করেন দেবী লক্ষ্মী। পুজোর রাতে তাই সারা বাড়ি প্রদীপ জ্বালিয়ে উজ্জ্বল করে রাখা হয়। রাত জেগে চলে দেবীর আবাহন।

কবে লক্ষ্মীপুজো
এই বছর ৬ অক্টোবর পালন হবে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। দুপুর থেকেই পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়ে যাবে যা শেষ হবে ৭ অক্টোবর। 

পূর্ণিমা তিথি (গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা)
পূর্ণিমা তিথি শুরু ১৯ আশ্বিন, সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টা ১২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডে।
পূর্ণিমা তিথি শেষ ২০ আশ্বিন, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩১ মিনিট ২৭ সেকেন্ড।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement