সুখ এবং দুঃখ জীবনের অপরিহার্য দিক। পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যে এই উভয় পরিস্থিতি থেকে পালাতে পারে। এই ধরনের প্রয়োজন প্রতিটি মানুষের জীবনে কোনও না কোনও সময়ে আসে। যখন তাকে সীমাহীন দুঃখে ঘেরা হয় এবং সে হতাশার সাগরে ডুবে যায়। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের কোনো পথ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। ব্যর্থতা তাকে প্রতিনিয়ত তাড়িত করে। জ্যোতিষীদের মতে, যখনই জীবনে এমন পরিস্থিতি দেখা দেয়, একজন ব্যক্তির উচিত শান্ত হওয়া এবং ধৈর্য্য ধারণ করা এবং কিছু বিশেষ বাস্তু প্রতিকার ব্যবহার করা শুরু করা।
বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি বা মূর্তি রাখুন
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যদি জীবনে বারবার ব্যর্থতার সম্মুখীন হন। কেরিয়ারের দৌড়ে অনেক পিছিয়ে গেছেন। যদি আপনার ব্যবসা প্রত্যাশা অনুযায়ী অগ্রসর না হয় তবে আপনার বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমান জির ছবি লাগাতে হবে। এটি করলে ঘরে ছড়িয়ে থাকা নেতিবাচক শক্তি চলে যায় এবং পজিটিভ শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ছবিটি বসানোর মাধ্যমে, বজরং বালি সর্বদা শারীরিকভাবে আপনার বাড়িতে উপস্থিত থাকবেন এবং উন্নতির পথে দাঁড়ানো সমস্ত বাধা দূর করতে শুরু করবেন। তারা বাড়িতে কোনও দুর্যোগ বা দারিদ্র্যকে প্রবেশ করতে দেবে না।
পঞ্চমুখী হনুমানের পাঁচটি মুখের গুরুত্ব
পঞ্চমুখী হনুমানজীর পাঁচটি মুখেরই নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। তাদের পাঁচটি মুখই ভিন্ন দিকে। হনুমানের মুখ তার ভক্তদের তাদের শত্রুদের উপর বিজয় প্রদান করে। যেখানে পশ্চিম দিকে রয়েছে ভগবানের গরুড় মুখ যা সাধকের জীবনে আসা বাধা ও সমস্যা দূর করে। বজরঙ্গ বলির বরাহ মুখ উত্তর দিকে যা সন্ধানকারীকে খ্যাতি ও শক্তি দেয়। তাঁর নরসিংহ মুখ দক্ষিণ দিকে, যা সাধককে ভয় থেকে মুক্তি দেয়। তার আকাশের দিকে মুখ করে একটি ঘোড়া রয়েছে, যা অন্বেষণকারীর ইচ্ছা পূরণ করে।
পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখার সঠিক দিক
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমান জির ছবি রাখলে কোনও অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না। বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি এমনভাবে রাখুন যেন তিনি দক্ষিণ দিকে তাকিয়ে থাকেন। বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বেশিরভাগ নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। বাড়ির দক্ষিণ দিকে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখুন। পঞ্চমুখী হনুমান ঘর থেকে সুখ-সমৃদ্ধি যেতে দেবে না। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘরের খারাপ বাস্তু দোষও দূর হয়।