
লাফিং বুদ্ধকে 'বুদ্ধাই' বা 'হোতেই'ও বলা হয়। লাফিং বুদ্ধ আসলে চিনের লোককথা এবং বৌদ্ধ ধর্মের এক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। বড় পেট এবং উষ্ণ হাসিই এই মূর্তির মূল বৈশিষ্ট্য। এই আকর্ষণীয় চেহারার জন্যই তাঁকে 'লাফিং বুদ্ধ' ডাকনাম দেওয়া হয়েছে।
লাফিং বুদ্ধ কীসের প্রতীক?
সুখ এবং তৃপ্তি: হাসিখুশি মুখ সুখ, তৃপ্তি এবং সৌভাগ্যের প্রতীক।
সমৃদ্ধি এবং প্রাচুর্য: বড় পেট সমৃদ্ধি এবং প্রাচুর্যের সঙ্গে যুক্ত।
জ্ঞান এবং সহানুভূতি: লাফিং বুদ্ধকে জ্ঞানী এবং সহানুভূতিশীল ব্যক্তিত্বের প্রতীক মনে করা হয়।
উৎপত্তি:
চিনা লোককথা অনুযায়ী, মনে করা হয় তিনি ১০ শতকের কাছাকাছি সময়ের এক জনপ্রিয় বৌদ্ধ সন্নাসী ছিলেন। কিছু বৌদ্ধ মতে তাঁকে একজন বোধিসত্ত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশাল চেহারা, জ্ঞান, দয়ালু মনোভাব ও সদাহাস্য মুুখের জন্য তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। বৌদ্ধ সন্নাসীদের গাম্ভীর্য্যের একেবারে বিপরীতে ছিলেন তিনি। ফলে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই তাঁর সঙ্গে 'রিলেট' করতে পারেন।
জাপান
জাপানে, তাঁকে 'হোতেই' বলা হয়। সাতজন ভাগ্য প্রদানকারী দেবতাদের মধ্যে তিনি একজন। তাঁকে সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়।
ভিয়েতনাম, কোরিয়া
পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য সংস্কৃতিতেও তাঁকে সম্মান করা হয়।
লাফিং বুদ্ধ ঘরে রাখার সুফল:
সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি: লাফিং বুদ্ধের মূর্তি ঘরে রাখলে সুখ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়।
মানসিক চাপ কমাতে: হাসিমুখ মানসিক চাপ কমাতে এবং ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করে।
সম্পর্ক উন্নত করতে: লাফিং বুদ্ধের মূর্তি পারিবারিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি করতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। তাই ভালবাসার মানুষদের লাফিং বুদ্ধের মূর্তি উপহার দিতে পারেন।
শিক্ষার উন্নতি: ছাত্রছাত্রীদের ঘরে লাফিং বুদ্ধের মূর্তি রাখলে মনযোগের উন্নতি হয় বলে মনে করা হয়।
কোথায় রাখবেন?
লাফিং বুদ্ধের মূর্তি শুধুমাত্র সুন্দর অন্দরসজ্জা নয়। বরং এটি সুখ, সমৃদ্ধি, এবং ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। বসার ঘরে লাফিং বুদ্ধের মূর্তি রাখলে তা পরিবারের সকলের মনে ইতিবাচক শক্তি প্রদান করতে পারে। এমন জায়গায় মূর্তি রাখতে হবে, যাতে দিনে বারবার তা আপনার চোখে পড়ে। অফিস বা পড়াশোনার টেবিলেও একটি ছোট লাফিং বুদ্ধের মূর্তি রাখতে পারেন।