মঙ্গলবার হনুমানজির জন্মবার। তাই এইদিন ভক্তি সহকারে পুজো করলে ভক্তের সব ইচ্ছা পূরণ করে থাকেন হনুমানজি। ভক্তের সব সঙ্কট কেটে যায়। কিন্তু শনিবারও হনুমানজির পুজো করার বিধি রয়েছে। যদিও আমরা জানি যে শনিবার বড়ঠাকুরের পুজো করা হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক যে শনিবার কেন হনুমানজির পুজো করতে বলা হয়ে থাকে।
এর পিছনে একটা পৌরানিক কাহিনী আছে। রাবণ রাজা তাঁর পুত্র মেঘনাদের জন্য তপস্যা শুরু করেছিলেন। মেঘনাদকে অপরাজেয় করার জন্য রাবণের এই তপস্যা। শ্রীরামকে পরাস্ত করাই তখন রাবণের একমাত্র লক্ষ্য। দেবদিদেব মহাদেবের একান্ত ভক্ত রাবণ। কিন্তু ভক্তের এই তপস্যায় সাড়া দিতে পারেননি মহাদেব। বিষ্ণুও চাননি রাবণ এই তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করুন। কারণ মেঘনাদ অপরাজেয় হলে শ্রীরাম পরাস্ত হবেন। রাবণ বুঝতে পেরেছিলেন দেবতারা তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছেন। তাই তিনি রাগের মাথায় নবগ্রহকে বন্দি করে রেখেছিলেন লঙ্কায়।ঠিক সেই সময়ে হনুমান সীতাদেবীর সঙ্গে দেখা করতে লঙ্কায় গেছিলেন। গিয়ে দেখেন একটা অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দি রয়েছেন ন’জন গ্রহদেবতা। হনুমান তাঁদের মুক্ত করেছিলেন। সেই থেকে শনিদেব হনুমানকে খুব স্নেহ করেন। শনিদেব কথা দিয়েছিলেন হনুমানের উপাসকদের তিনি কোনও দিন কোনও ক্ষতি করবেন না। তাই শনিদেবের কোপদৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে প্রতি শনিবার হনুমানজির পুজো করেন অনেকেই। হনুমানজি ঢালের মতো আগলে রাখেন তাঁর উপাস্যদের।
শনিবার হনুমানজির পুজোয় শুভ ফল মেলে
-কোনও ভক্ত যদি শনিবার হনুমানের উপাসনা করেন তবে শনির সাড়ে সাতির দুর্ভোগ থেকে তিনি মুক্তি পাবেন। শনির ক্রোধ সেই ব্যক্তির উপর পড়বে না, শনিবার শনিদেব এবং হনুমানের উপাসনা করলে তার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হবে।
-শনিবার হনুমানের পুজো করলে পজেটিভ এনার্জি এতটাই বাড়ে যে জীবন থেকে সব নেগেটিভ শক্তির প্রভাব দূর হয়ে যায়।
-শনিবার হনুমানজিকে একান্ত মনে ডাকলে পারিবারিক কলহ,রোগভোগ ,অর্থনৈতিক সমস্যা-সব কিছুর সমাধান সূত্র পাওয়া যায় সহজে।
-বিশেষে বলি , হনুমানজি রামভক্ত। তাই শনি মঙ্গল যে বারেই তাঁর আরাধনা করুন না কেন ,পুজোর শেষে তিনবার ‘জয় শ্রীরাম’ বলে পুজো শেষ করবেন।