আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের (FY23) কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে এই বাজেট থেকে দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেকটাই।
তবে কেন্দ্রীয় বাজেটে থেকে দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হোক বা না হোক, তার আগে কিছুটা স্বস্তি দিল নতুন বছরের এ পর্যন্ত পাওয়া দেশের বেকারত্বের হার। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে বেড়েছে দেশের কর্মসংস্থানের সুযোগ।
‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) গত মাসে প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাজ হারিয়েছিলেন দেশের প্রায় ৭০ লক্ষ কর্মী! দেশের বেকারত্বের হার নভেম্বরে ছিল ৬.৯৭ শতাংশ যা ডিসেম্বরে বেড়ে ৭.৯১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল।
তবে কেন্দ্রীয় বাজেটের ঠিক আগেই ওমিক্রনের ঝড়-ঝাপটা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ। বেড়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ, কমেছে বেকারত্বের হার। ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশের বেকারত্বের হার ৭.৯১ শতাংশ থেকে কমে ৬.৭৮ শতাংশ হয়েছে।
‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) পরিসংখ্যান বলছে, দেশের গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চল— উভয় ক্ষেত্রেই বেকারত্বের হার ডিসেম্বরের তুলনায় ১ শতাংশ করে কমেছে। ফলে সামগ্রিক ভাবে দেশের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে।
CMIE-র দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বাংলার বেকারত্বের হার ৬.৮ শতাংশ থেকে ১.২ শতাংশ কমে ৫.৬ শতাংশ হয়েছিল। ওই সময় রাজ্যে অনেকটাই বেড়েছিল কর্মসংস্থানের সুযোগ। কিন্তু তার পরই নভেম্বর-ডিসেম্বর মিলিয়ে বাংলার বেকারত্বের হার ১.৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।