আগামী দিনে গম ও চিনির দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দুটির রফতানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে তখন বলা হয়, অভ্যন্তরীণ মূল্য নিয়ন্ত্রণে এবং মজুদের প্রাপ্যতা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার অন্য ফসল, চাল রফতানি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে। একটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি কোন ফসলের দাম বাড়তে পারে তা পর্যালোচনা করছে।
চিনের পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী দেশ। ২০২১-২২ সালে, ভারত ১৫০টিরও বেশি দেশে চাল রফতানি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের প্রায় পাঁচটি ফসল রফতানি নিষিদ্ধ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই গম ও চিনির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার কি চালের পালা!
ভারত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬.১১৫ বিলিয়ন ডলারের অ-বাসমতি চাল রফতানি করেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ সালে চালের উৎপাদন ছিল ১২৭.৯৩ মেট্রিক টন, যা গত পাঁচ বছরের ধান উৎপাদনের চেয়ে ১১.৪৯ মেট্রিক টন বেশি।
সম্প্রতি পেট্রোল ও ডিজেলের আবগারি শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি কেন্দ্রের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এ কারণেই চালের রফতানি নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
চালের রফতানি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যেহেতু বেশিরভাগ দেশ খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ নীতি গ্রহণ করছে, তাই ভারতও প্রথমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে চায় এবং তারপরে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সেই সমস্ত দেশে চাল রপ্তানি করতে চায় যেগুলির অভাব রয়েছে।