ধনতেরাসের বাজার শনিবার তেমন জমেনি। সোনার বাজার সোনালি হতে পারেনি শনিবার। যে আশায় ব্যবসায়ীরা বুক বাঁধছিলেন তা পূরণ হয়নি।পুরনো দিল্লির বাজারে জুয়েলার্সদের বক্তব্য এবার গ্রাহকদের সংখ্যাতে কম হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন যে, শনিবারের বাজারে কোভিডের আগে যতটা ধনতেরাসে খদ্দের আসতেন, এবার ততটা খদ্দের হয়নি। তাঁদের বক্তব্য যে, আমরা বিক্রির বিষয়ে প্রি-কোভিড লেভেল পর্যন্ত পৌঁছনোর দোড়গোড়ায় রয়েছি। কিন্তু বাজারে আগের মত ভিড় নজরে পড়ছে না।
রবিবারের ব্যবসায় নজর ব্যবসায়ীদের
সোনার এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন যে আশা করা যাচ্ছে রবিবার দিন বিক্রি বাড়বে। তিনি মনে করেন যে, গতবছরের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। এই কারণে সমস্ত ব্যবসায়ীরা কিছুটা খুশি। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা এখনও পূরণ হয়নি। তাই রবিবার ব্যবসার ওপর সমস্ত লক্ষ্য স্থির রয়েছে।
গয়না কম কিনছেন মানুষ
বুলিয়ান এন্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রাম অবতার বর্মা জানিয়েছেন যে মার্কেটে কেনাকাটার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এবার ভাল। তিনি জানিয়েছেন যে তা এখনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছয়নি। কিন্তু গত বছরের মোকাবিলায় ভাল। বেশিরভাগ লোক সোনা এবং রুপোর কয়েন কিনছেন। গয়না বিক্রি কম হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।
রাম-সীতা-লক্ষ্মণের মূর্তির চাহিদা
গয়নার বাজার তেমন ভাল না থাকলেও শনিবার ধনতেরাসের মার্কেটে শনিবার ভগবান রাম-সীতা এবং লক্ষণের সোনার এবং রুপোর মূর্তির ডিমান্ড ভাল ছিল। দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় প্রচুর বিকিয়েছে এই মূর্তি। তবে লক্ষ্মী, গণেশের মূর্তিও বিক্রি হয়েছে।
বুলিয়ান এন্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে, তিনি আশা করছেন যে রবিবার আরও বেশি কেনাকাটা হবে। তিনি জানিয়েছেন যে দিওয়ালির পরে বিয়ের মরশুম রয়েছে। সেই সময় হতে পারে ব্যবসা আরও ভালো হবে। একজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন যে কোভিডের সময় অনেক ব্যবসা ই-কমার্সে শিফট হয়ে গিয়েছে। এই কারণে পারম্পরিক ব্যবসায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে।
৪০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে ব্যবসা
ধনতেরাসের পর্বে দিল্লি সহ গোটা দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা বড় দিন। এর জন্য গোটা দেশের ব্যবসায়ীদের বড় প্রস্তুতিও থাকে ।কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (cait) এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট বি ভরতিয়া এবং মহাসচিব প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন যে ধনতেরাসের দিন ১৫ হাজার কোটি টাকার বিক্রির আশা করা হচ্ছে।