বাংলায় নববর্ষের আগে থেকেই অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মুরগির মাংসের দামও। অক্ষয় তৃতীয়ার আগেই মুরগির মাংসের দাম কেজিতে আড়াইশো টাকা ছাড়িয়ে যায়।
অক্ষয় তৃতীয়ার পর আজ দাম সামান্য পড়লেও তা সাময়িক বলেই জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন (WEST BENGAL POULTRY FEDERATION)-এর সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন মাইতি।
রাজ্যে চিকেনের বাড়ন্ত দামের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন-এর সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের জেরে গত মাস দুয়েকে প্রায় সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে অনেকটাই দাম বেড়েছে পাখির খাবারের। ফলে পল্ট্রি ফার্মের মুরগি প্রতিপালনের খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
মদনবাবু জানান, রাজ্যের কিছু জায়গায় চিকেনের দাম কমলেও তা সাময়িক। পল্ট্রি ফার্মগুলিতে ইদানীং মুরগি প্রতিপালনের খরচ যে হারে বেড়েছে, তাতে চিকেনের দাম কেজিতে অন্তত ২৫০ টাকা না রাখলে খামারের মালিকরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন-এর সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষতি বাঁচিয়ে চিকেনের উৎপাদন আর জোগান স্বাভাবিক রাখতে দাম বাড়ানো ছাড়া গতি নেই খামারের মালিকদের কাছে। মাংসের দাম কেজিতে ২০০ টাকার নীচে নেমে গেলেই লোকশানের মুখে পড়তে ব্যবসায়ীদের।
তিনি জানান, মুরগির খাবারের মোট চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশই আসে ভিন রাজ্য থেকে। বেশি দামে খাবার কিনে চিকেনের দামে সামান্য লাভ না রাখলে পল্ট্রি ফার্মগুলি চালানো মুসকিল হবে। তাই চিকেনের দাম বাড়ানো অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
মুরগির মাংসের দাম কেজিতে ১৮০ টাকা থেকে বাড়তে বাড়তে ২২০-২৫০ টাকা কেজি ছুঁয়েছে। বিগত এক সপ্তাহে কেজিতে প্রায় ৭০ টাকা বেড়েছে চিকেনের দাম। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে চিকেনের দাম।