বিকেন্দ্রীকরণ শুরু করেচে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি ব্য়াঙ্কগুলির বেসরকারিকরণের পথও সুগম হয়েছে। সরকার শীঘ্রই ব্যাঙ্কগুলির বিকেন্দ্রীকরণের কথা ঘোষণা করতে পারে। বর্তমানে দেশে ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রয়েছে। আইডিবিআই ছাড়াও আরও দু'টি ব্য়াঙ্কের বেসরকারিকরণ নিশ্চিত বলে খবর। ইতিমধ্যে নীতি আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগড়িয়া এবং NCAER-এর অধিকর্তা তথা প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পুনম গুপ্তা নীতিমালাও তৈরি করেছেন। তাতে তিনি সুপারিশ করেছেন,স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) ছাড়া বাকি সব ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণ করতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির (PSBs) বেসরকারিকরণের পক্ষে সওয়াল করেছেন অরবিন্দ ও পুনম। তাঁদের মতে, ভাল পারফরম্যান্সের জন্য এসবিআই-কে হাতে রাখা উচিত। দুই অর্থনীতিবিদদের মতে, আর্থিক বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে এসবিআই-সহ অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে আমরা মনে করি যে ভারতীয় অর্থনৈতিক কাঠামো এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে কোনও সরকারই চাইবে না তাদের হাতে একটাও ব্য়াঙ্কের মালিকানা নেই। এটা মাথায় রেখে SBI ছাড়া অন্য সব সরকারি ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের পথে এগানো উচিত।
তাঁরা লিখেছেন, যদি কয়েক বছর পরে পরিস্থিতি আরও অনুকূল হলে SBI-কেও বেসরকারিকরণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি অনেক ভাল পরিষেবা দিচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণ করা হলে তাঁদের কাজের পদ্ধতিতেও উন্নতি হবে। সরকারি ব্যাঙ্কগুলি সম্পদ এবং ইক্যুইটির ভিত্তিতে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। আমানত ও অগ্রিম ঋণের ক্ষেত্রেও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি সরকারি ব্যাঙ্ককে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
দুটি ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছে সরকার কোনগুলি? রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে সম্পদ এবং ইক্যুইটি সর্বোচ্চ রিটার্ন দিয়েছে এবং অনুৎপাদক সম্পত্তি কম, এমন দুটি ব্যাঙ্ককে আগে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া সহজ হবে।
আরও পড়ুন- ১৮ জুলাই থেকে দামি দুধ, দই থেকে একাধিক জিনিস