গত কয়েক বছর ধরে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছিলেন সাধারণ মানুষ। জোগান ও চাহিদার ভারসাম্য রাখতে এ বছর আগেভাগে পদক্ষেপ করল মোদী সরকার। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ সংরক্ষণে কাজে লাগানো হচ্ছে পড়ুয়া, গবেষক থেকে স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে।
উপভোক্তা মন্ত্রক জানিয়েছে, আগে বিপুল পেঁয়াজ থেকে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। ২০২২-২৩ সালে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে রেকর্ড ২.৫০ লক্ষ টন। যা ২০২১-২২ সালে ২ লক্ষ টনের বাফার স্টকের চেয়ে অনেকটাই বেশি। মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের কৃষি উৎপাদনকারী সংস্থা (FPOs) এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে এই পেঁয়াজ।
ভারতে রবি মরসুমে ৬৫ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এপ্রিল-জুন মাসে বাফার স্টক রাখার জন্য পেঁয়াজ কেনে সরকার। এতে সুবিধা হল, অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে যখন বাজারে পেঁয়াজের জোগান কম থাকে তখন বাফার স্টক ঘাটতি পূরণ করে। চলতি বছর দাম বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে কেন্দ্র। দাম স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনের সময় এই বাফার স্টক খোলা বাজারে ছাড়ে কেন্দ্রীয় সরকার।
সরকারের 'বড় চ্যালেঞ্জ' পেঁয়াজ সংরক্ষণ
পেঁয়াজ পচনশীল সবজি। ফসল কাটার পরে শুকিয়ে যেতে পারে, অঙ্কু চলে আসে। ফলে পেঁয়াজ সংরক্ষণ অত্যন্ত কঠিন কাজ। সরকার এখন উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে যাতে পেঁয়াজ দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য রাখা যায়। এ জন্য, সরকার এখন পেঁয়াজের প্রাথমিক প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণের জন্য নতুন প্রযুক্তির উন্নতির দিকে নজর দিয়েছে। এ কাজে লাগানো হচ্ছে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডিপ্লোমাধারী ছাত্রদের পাশাপাশি গবেষক এবং স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে। পেঁয়াজের অপচয় রোধ করার জন্য দক্ষ এবং সাশ্রয়ী উপায় তৈরির কাজ চালাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- SBI ছাড়া সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারি করা হোক: NCAER রিপোর্ট