রবিবার ছুটির দিনে বাঙালি বাড়িতে জমিয়ে চলে চিকেন-মাটনে ভূরিভোজ। মাটন তো মধ্যবিত্তের হাতের বাইরে চলেই গিয়েছে। এবার চিকেনের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এখনও কলকাতায় কেজিতে ৩০০ টাকা না গেলেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ২৫০-২৭০ টাকায় বিকোচ্ছে মুরগির মাংস।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সব জায়গায় চিকেন বিক্রি হয়েছে আড়াইশোর টাকার উপরে। শুক্র-শনিতে দাম আরও চড়েছে। এবার রবিবার চাহিদা সাধারণভাবে বেশি থাকে। তাই আরও দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ৩০০ টাকা ছুঁতে পারে চিকেনের দাম। গত মাসেও আড়াইশোর টাকার উপরে বিকিয়েছে মুরগির মাংস। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, চড়া দামে মাংস কেনার পরিমাণ কমে গিয়েছে। কম করে চিকেন কিনছেন সাধারণ মানুষ।
কেন দাম বেড়েছে?
মুরগি প্রতিপালনকারীদের দাবি, গত কয়েক মাসে খরচ বেড়েছে। মুরগির জন্মের পর ৪০ দিন রাখতে হয় খামারে। তখন ওজন হয় ২ কেজি। প্রতি কেজি মাংসের জন্য দেড় কেজির খাদ্যশস্য দরকার। প্রিস্টার্টার, স্টার্টার এবং ফিনিশার - এই তিন ধরনের খাবার খাওয়াতে হয় মুরগিকে। ভুট্টা ও সয়াবিন দিয়ে তৈরি হয় খাবার। ভুট্টার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা। ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকা হয়েছে। সয়াবিন প্রতি কেজিতে ৩৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৬ টাকা। অর্থাৎ দ্বিগুণের কাছাকাছি বৃদ্ধি। এছাড়াও নানা ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড দেওয়া হয় খাবার। সে সবেরও দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পরিবহণ ও মজুরির খরচ। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহণ খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতির কথায়,'খামারে মুরগি প্রতিপালনের খরচ ৮০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। দাম না বাড়ালে পোল্ট্রি করে লাভ হবে না। কেজিতে ৩০০ টাকা না হলে লাভ হবে না।'
আরও পড়ুন- মমতা চান মেয়াদবৃদ্ধি, জুনেই জিএসটি ক্ষতিপূরণ বন্ধের পথে কেন্দ্র