জুনে বন্ধ হতে চলেছে জিএসটি ক্ষতিপূরণ। সেই মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জিএসটি কাউন্সিলের আগামী বৈঠকে রাজ্যগুলিকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে খবর। কোভি়ডের কারণে একাধিক রাজ্যের কোষাগারে টান পড়েছে। ইতিমধ্যেই আরও ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিতে রাজ্যগুলি মেনে নেবে কিনা এ নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে।
জুনেই জিএসটি ক্ষতিপূরণের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তা আর বাড়াতে চাইছে না মোদী সরকার। কেন্দ্রের দাবি, গত কয়েক মাসে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতে জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে। ঘটনা হল, কোভিডের কারণে একাধিক রাজ্যের কোষাগারে টানাটানি দশা। তারা চাইছে, ক্ষতিপূরণের মেয়াদ আরও বাড়ানো হোক। এই দাবিতে সব রাজ্যগুলিকে একজোট হওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৮ এপ্রিল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেছিলেন, জিএসটি ক্ষতিপূরণের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো হোক। অন্যথায় রাজ্যগুলির আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়বে।
মমতা এও বলেছিলেন,'শ্রীলঙ্কায় আগুন জ্বলছে। এখানেও যা পরিস্থিতি আগামী দিনে সব রাজ্য সরকার বেতন দিতে পারবে কিনা সন্দেহ! কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা পাওনা। জিএসটি ক্ষতিপূরণের বকেয়া টাকাও মিলছে না। তার উপরে সেস বসিয়ে পুরো টাকাটাই নিয়ে নিচ্ছে কেন্দ্র।'
কোভিডের কারণে দীর্ঘ লকডাউন। তার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে সামাজিক প্রকল্পের জন্য বিপুল খরচ। স্বাভাবিকভাবে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বন্ধ হলে সমস্যায় পড়বে বাংলা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি ক্ষতিপূরণ চালু রাখার পক্ষপাতী নয়। নয়াদিল্লির যুক্তি, গত কয়েক মাস ধরে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়েছে জিএসটি সংগ্রহ। তাই জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দরকার নেই। এপ্রিলেই ২০ শতাংশ বেড়েছে পণ্য ও পরিষেবা কর বাবদ আয়। জিএসটি চালু হওয়ার পর ১৪ শতাংশও বৃদ্ধি ছিল না। সেজন্য় ক্ষতিপূরণ চালু করা হয়েছিল। এখন জিএসটি বৃদ্ধি সুনিশ্চিত হওয়ার পর তার আর প্রয়োজনীয়তা নেই।
শোনা যাচ্ছে, আগামী জিএসটি বৈঠকে ক্ষতিপূরণ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে। সেটা কতটা সর্বসম্মতিতে হবে বা বাংলার সঙ্গে অন্য রাজ্যগুলিও সরব হয় কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- ২০০০ ইলেকট্রিক বাস চালাবে টাটা, কিলোমিটার পিছু কত দেবে রাজ্য?