ডিএ বকেয়া (Dearness Allowance West Bengal)রয়েছে। সেই অভিযোগে আন্দোলনে নেমেছে প্রায় ২৮ টি সংগঠন। এরই মধ্যে বকেয়া ডিএ নিয়ে মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর সেই মন্তব্য নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য় সরকারি কর্মীদের মধ্যে।
সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্য সরকার কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিয়েছে। আর তাতেই শোরগোল। রাজ্যের এই মন্ত্রীর কথায়, 'সরকার ইতিমধ্য়েই ডিএ দিয়েছে। সেটাই আমরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টেও জানিয়েছি। তারপর আবার এসব করার দরকার কী। তার মানে কোর্টে আপনার ভরসা নেই। তাহলে কোর্ট থেকে কেস তুলে নিন।'
এখানেই না থেমে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'কোনও সরকারি কর্মচারী কর্মবিরতিতে যাবে না। কিছু সিপিএম-এর লোক এগুলো করছে সরকারকে বিরক্ত করার জন্য।'
আরও পড়ুন : ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মী-শিক্ষক সংগঠনের, দাবি মিটবে ?
সরকার ডিএ মিটিয়ে দিয়েছে, ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় সরকারি কর্মীদের মধ্য়ে। যদিও মামলাকারী সংগঠন স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে জানান, 'রাজ্য সরকার হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, তারা নাকি সরকারি কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিয়েছে। আমাদের দাবি, ডিএ দেওয়া হয়নি। তাই নিয়েই তো সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। পুরোটাই এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচার্য বিষয়। আগামী ১৫ মার্চ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা ও রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী সেই রায়ের দিকেই তাকিয়ে।'
এই বিষয়ে আর এক মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, 'ডিএ সম্পর্কে যা বক্তব্য বা সরকারের অবস্থান তা আমরা কেবলমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই শুনব। কারণ তিনিই অর্থমন্ত্রী। মুখ্যসচিবের বক্তব্যও শুনতে পারি। তবে অন্য কোনও মন্ত্রী বা নেতার বক্তব্যে কর্ণপাত করব না। আর ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে বলছেন। তিনিই তো কলকাতার মেয়র। অথচ তাঁরই যে সব কর্মীরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের পেনশন নিয়ে অনেক ডামাডোল হয়েছিল। তাই তাঁর বক্তব্যের গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে।'
প্রসঙ্গত, DA নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকার যেন কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মিটিয়ে দের। কিন্তু,সেই রায় পুর্নবিবেচনার জন্য ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু, সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে DA মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি পর্ব শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ এই মামলার রায় দেবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট।