বকেয়া ডিএ মেটায়নি রাজ্য সরকার। এই অভিযোগে ধর্মতলায় ধরনায় বসেছেন সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। আজ সোমবার নিয়ে এই অবস্থান চতুর্থ দিনে পড়েছে। এরই মধ্যে বড় ঘোষণা করল আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাদের তরফে ঘোষণা, সরকারকে ডিএ ঘোষণা করতেই হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, ডিএ পাওয়ার দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কর্মবিরতির ডাকও দিয়েছে।
কর্মবিরতি
সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে ১ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাজ্যজুড়ে স্কুল, হাসপাতাল ও আদালত-সহ সমস্ত সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। দুপুর ২ থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালেও কর্মবিরতি চলবে। তবে কোনও জরুরি পরিষেবা বিঘ্নিত হবে না। রুটিন মাফিক কাজকর্ম চলবে। তবে জরুরি পরিষেবা কোনওভাবেই বিঘ্নিত হবে না।
আর এক আন্দোলনকারী জানান, গোটা দেশের সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন। এই রাজ্যের কর্মীরা পাচ্ছেন না। অথচ এটা মৌলিক অধিকার। আন্দোলন চলবে। ডিএ আদায় করে তবেই রণেভঙ্গ দেবেন সরকারি কর্মীরা। হাইকোর্ট বলেছে, ডিএ দেওয়া সংবিধানের অংশ। তাহলে মন্ত্রী-নেতা, সরকার সেই রায় মানছেন না কেন ?
যদিও এখন প্রশ্ন, সরকারি কর্মী ও আন্দোলনকারীদের এই দাবির ফলে কি ডিএ ঘোষণা করবে সরকার? তেমন কোনও ইঙ্গিত যদিও মেলেনি। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এই নিয়ে জানান, '১ তারিখে মাইনে, সময়মতো পেনশন, মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি, সবরকম সুবিধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। ফলে সহজেই অনুমান করা যায়, সুযোগ থাকলে এই দাবিও মেনে নিতেন তিনি।'
আবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'কিছু বামপন্থী এসব কর্মবিরতি ডাকছে। সরকারি কর্মীরা যাবেন না এই কর্মবিরতিতে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলছে। তাহলে এখন আন্দোলনের মানে কি ?'
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ডিএ মামলা এখন সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন। মার্চের ১৫ তারিখে ফের শুনানি রয়েছে। এই মামলার (WB DA case in Supreme Court)৷ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকে হাইকোর্ট ও স্যাট একাধিক বার রাজ্যকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও রাজ্য বারবার নির্দেশ অমান্য করছে ৷