রাজ্যের ডিএ আন্দোলনে নয়া মোড়। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ২০ ও ২১ তারিখ অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। তবে পেন ডাউনের বিরোধিতা করেছে সরকার। জরুরি কারণ ছাড়া কোনও ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। তা সত্ত্বেও কেউ ছুটি নিলে বেতন কাটা যাবে, এমনকী কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একটি দিন। এরই মধ্যে সরকারি কর্মীরাও বড় পদক্ষেপ নিল।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তথা সরকারি কর্মীদের তরফে ইতিমধ্যেই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে অর্থসচিব মনোজ পন্থের কাছে। সেই নোটিশে উল্লেখ, এই কর্মবিরতি পালনের ফলে সরকার কর্মীদের বিরুদ্ধে যদি কোনও পদক্ষেপ করে তাহলে সরকারি কর্মীরাও আইনি পথে হাঁটবেন।
কী আইনি পদক্ষেপ ?
সরকারকে এই চিঠিটি পাঠিয়েছে মোট ৩৬ টি সংগঠন। তাদের তরফে আইনজীবী প্রবীর চট্টোপাধ্য়ায় জানান, 'সরকার আগেও কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পাল্টা সরকারকেও কর্মীরা আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। আমরা সরকারের নোটিশকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি না। কারণ, হাইকোর্টের নির্দেশে সরকারি কর্মীরা আন্দোলনে বসেছে। এখন সরকার যদি কর্মীদের কর্মজীবন থেকে একটা দিন কেটে নেয়, বা তেমন কোনও পদক্ষেপ করে তাহলে সরকারি কর্মীরাও তৈরি। আমরাও কোর্টে যাব।'
আরও পড়ুন : ডিএ-র দাবিতে পরপর ২ দিন রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক সরকারি কর্মীদের
এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ইউনিটি ফোরামের দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, 'এই কর্মসূচির জন্য মহামান্য হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে। সরকার যে নোটিশ দিয়েছে তা স্ববিরোধী। হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে সরকার এভাবে নোটিশ দিতে পারে না।'
প্রসঙ্গত, গত শনিবার অর্থ দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই দু'দিন ছুটি নেওয়া যাবে না। এবার সরকারি ও সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সোমবার ও মঙ্গলবার বাধ্যতামূলক হাজিরার নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নিবেদিতা ভবনের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,'২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। ওই দুদিন সব কর্মীর হাজিরা বাধ্যতামূলক। কোনও ছুটির অনুমতি দেওয়া হবে না। নেওয়া যাবে না অর্ধদিবস ছুটি।'